নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে লিখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।
1) ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা
2) ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
3) ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়
4) ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত
5) ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র
6) ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ
7) ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী
8) ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য
9) ক্র = ক + র; যেমন- চক্র
10) ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি
11) ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পক্ষ
12) ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ
13) ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু
14) ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী
15) ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য
16) ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য
17) ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স
18) খ্য = খ + য; যেমন- সখ্য
19) খ্র = খ+ র যেমন; যেমন- খ্রিস্টান
20) গ্ণ = গ + ণ; যেমন - রুগ্ণ
21) গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ
22) গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য
23) গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী
24) গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন
25) গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
26) গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী
27) গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম
28) গ্য = গ + য; যেমন- ভাগ্য
29) গ্র = গ + র; যেমন- গ্রাম
30) গ্র্য = গ + র + য; যেমন- ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট
31) গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি
32) ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন
33) ঘ্য = ঘ + য; যেমন- অশ্লাঘ্য
34) ঘ্র = ঘ + র; যেমন- ঘ্রাণ
35) ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি
36) ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক
37) ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য
38) ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা
39) ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ
40) ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ
41) ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
42) ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ
43) ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য
44) ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি
45) ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়
46) চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা
47) চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা
48) চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস
49) চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়
50) চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা
51) চ্ব = চ + ব; যেমন- চ্বী
52) চ্য = চ + য; যেমন- প্রাচ্য
53) জ্জ = জ + জ; যেমন- বিপজ্জনক
54) জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল
55) জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা
56) জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- জ্ঞান
57) জ্ব = জ + ব; যেমন- জ্বর
58) জ্য = জ + য; যেমন- রাজ্য
59) জ্র = জ + র; যেমন- বজ্র
60) ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চল
61) ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন- লাঞ্ছনা
62) ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন- কুঞ্জ
63) ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন- ঝঞ্ঝা
64) ট্ট = ট + ট; যেমন- চট্টগ্রাম
65) ট্ব = ট + ব; যেমন- খট্বা
66) ট্ম = ট + ম; যেমন- কুট্মল
67) ট্য = ট + য; যেমন- নাট্য
68) ট্র = ট + র; যেমন- ট্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
69) ড়্গ = ড় + গ; যেমন- খড়্গ
70) ড্ড = ড + ড; যেমন- আড্ডা
71) ড্ব = ড + ব; যেমন- অন্ড্বান
72) ড্য = ড + য; যেমন- জাড্য
73) ড্র = ড + র; যেমন- ড্রাইভার, ড্রাম (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
74) ঢ্য = ঢ + য; যেমন- ধনাঢ্য
75) ঢ্র = ঢ + র; যেমন- মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য: অত্যন্ত বিরল)
76) ণ্ট = ণ + ট; যেমন- ঘণ্টা
77) ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন- কণ্ঠ
78) ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন- কণ্ঠ্য
79) ণ্ড = ণ + ড; যেমন- গণ্ডগোল
80) ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন- পাণ্ড্য
81) ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন- পুণ্ড্র
82) ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন- ষণ্ঢ
83) ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন- বিষণ্ণ
84) ণ্ব = ণ + ব; যেমন- স্হাণ্বীশ্বর
85) ণ্ম = ণ + ম; যেমন- চিণ্ময়
86) ণ্য = ণ + য; যেমন- পূণ্য
87) ত্ত = ত + ত; যেমন- উত্তর
88) ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন- সত্ত্ব
89) ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন- উত্ত্যক্ত
90) ত্থ = ত + থ; যেমন- অশ্বত্থ
91) ত্ন = ত + ন; যেমন- যত্ন
92) ত্ব = ত + ব; যেমন- রাজত্ব
93) ত্ম = ত + ম; যেমন- আত্মা
94) ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন- দৌরাত্ম্য
95) ত্য = ত + য; যেমন- সত্য
96) ত্র = ত + র যেমন- ত্রিশ, ত্রাণ
97) ত্র্য = ত + র + য; যেমন- বৈচিত্র্য
98) ৎক = ত + ক; যেমন- উৎকট
99) ৎল = ত + ল; যেমন- কাৎলা
100) ৎস = ত + স; যেমন- বৎসর, উৎসব
101) থ্ব = থ + ব; যেমন- পৃথ্বী
102) থ্য = থ + য; যেমন- পথ্য
103) থ্র = থ + র; যেমন- থ্রি (three) (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
104) দ্গ = দ + গ; যেমন- উদ্গম
105) দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন- উদ্ঘাটন
106) দ্দ = দ + দ; যেমন- উদ্দেশ্য
107) দ্দ্ব = দ + দ + ব; যেমন- তদ্দ্বারা
108) দ্ধ = দ + ধ; যেমন- রুদ্ধ
109) দ্ব = দ + ব; যেমন- বিদ্বান
110) দ্ভ = দ + ভ; যেমন- অদ্ভুত
111) দ্ভ্র = দ + ভ + র; যেমন- উদ্ভ্রান্ত
112) দ্ম = দ + ম; যেমন- ছদ্ম
113) দ্য = দ + য; যেমন- বাদ্য
114) দ্র = দ + র; যেমন- রুদ্র
115) দ্র্য = দ + র + য; যেমন- দারিদ্র্য
116) ধ্ন = ধ + ন; যেমন- অর্থগৃধ্নু
117) ধ্ব = ধ + ব; যেমন- ধ্বনি
118) ধ্ম = ধ + ম; যেমন- উদরাধ্মান
119) ধ্য = ধ + য; যেমন- আরাধ্য
120) ধ্র = ধ + র; যেমন- ধ্রুব
121) ন্ট = ন + ট; যেমন- প্যান্ট (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
122) ন্ট্র = ন + ট + র; যেমন- কন্ট্রোল (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
123) ন্ঠ = ন + ঠ; যেমন- লন্ঠন
124) ন্ড = ন + ড; যেমন- গন্ডার, পাউন্ড
125) ন্ড্র = ন + ড + র; যেমন- হান্ড্রেড
126) ন্ত = ন + ত; যেমন- জীবন্ত
127) ন্ত্ব = ন + ত + ব; যেমন- সান্ত্বনা
128) ন্ত্য = ন + ত + য; যেমন- অন্ত্য
129) ন্ত্র = ন + ত + র; যেমন- মন্ত্র
130) ন্ত্র্য = ন + ত + র + য; যেমন- স্বাতন্ত্র্য
131) ন্থ = ন + থ; যেমন- গ্রন্থ
132) ন্থ্র = ন + থ + র; যেমন- অ্যান্থ্রাক্স (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
133) ন্দ = ন + দ; যেমন- ছন্দ
134) ন্দ্ব = ন + দ + ব; যেমন- দ্বন্দ্ব
135) ন্দ্য = ন + দ + য; যেমন- অনিন্দ্য
136) ন্দ্র = ন + দ + র; যেমন- কেন্দ্র
137) ন্ধ = ন + ধ; যেমন- অন্ধ
138) ন্ধ্য = ন + ধ + য; যেমন- বিন্ধ্য
139) ন্ধ্র = ন + ধ + র; যেমন- রন্ধ্র
140) ন্ন = ন + ন; যেমন- নবান্ন
141) ন্ব = ন + ব; যেমন- ধন্বন্তরি
142) ন্ম = ন + ম; যেমন- চিন্ময়
143) ন্য = ন + য; যেমন- ধন্য
144) প্ট = প + ট; যেমন- পাটি-সাপ্টা, ক্যাপ্টেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
145) প্ত = প + ত; যেমন- সুপ্ত
146) প্ন = প + ন; যেমন- স্বপ্ন
147) প্প = প + প; যেমন- ধাপ্পা
148) প্য = প + য; যেমন- প্রাপ্য
149) প্র = প + র; যেমন- ক্ষিপ্র
150) প্র্য = প + র + য; যেমন- প্র্যাকটিস (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
151) প্ল = প + ল; যেমন-আপ্লুত
152) প্স = প + স; যেমন- লিপ্সা
153) ফ্র = ফ + র; যেমন- ফ্রক, ফ্রিজ, আফ্রিকা, রেফ্রিজারেটর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
154) ফ্ল = ফ + ল; যেমন- ফ্লেভার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
155) ব্জ = ব + জ; যেমন- ন্যুব্জ
156) ব্দ = ব + দ; যেমন- জব্দ
157) ব্ধ = ব + ধ; যেমন- লব্ধ
158) ব্ব = ব + ব; যেমন- ডাব্বা
159) ব্য = ব + য; যেমন- দাতব্য
160) ব্র = ব + র; যেমন- ব্রাহ্মণ
161) ব্ল = ব + ল; যেমন- ব্লাউজ
162) ভ্ব =ভ + ব; যেমন- ভ্বা
163) ভ্য = ভ + য; যেমন- সভ্য
164) ভ্র = ভ + র; যেমন- শুভ্র
165) ম্ন = ম + ন; যেমন- নিম্ন
166) ম্প = ম + প; যেমন- কম্প
167) ম্প্র = ম + প + র; যেমন- সম্প্রতি
168) ম্ফ = ম + ফ; যেমন- লম্ফ
169) ম্ব = ম + ব; যেমন- প্রতিবিম্ব
170) ম্ব্র = ম + ব + র; যেমন- মেম্ব্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
171) ম্ভ = ম + ভ; যেমন- দম্ভ
172) ম্ভ্র = ম + ভ + র; যেমন- সম্ভ্রম
173) ম্ম = ম + ম; যেমন- সম্মান
174) ম্য = ম + য; যেমন- গ্রাম্য
175) ম্র = ম + র; যেমন- নম্র
176) ম্ল = ম + ল; যেমন- অম্ল
177) য্য = য + য; যেমন- ন্যায্য
178) র্ক = র + ক; যেমন - তর্ক
179) র্ক্য = র + ক + য; যেমন- অতর্ক্য (তর্ক দিয়ে যার সমাধান হয় না)
180) র্খ = র + খ; যেমন- মূর্খ
181) র্গ = র + গ; যেমন- দুর্গ
182) র্গ্য = র + গ + য; যেমন - বর্গ্য (বর্গসম্বন্ধীয়)
183) র্গ্র = র + গ + র; যেমন- দুর্গ্রহ, নির্গ্রন্হ
184) র্ঘ = র + ঘ; যেমন- দীর্ঘ
185) র্ঘ্য = র + ঘ + য; যেমন- দৈর্ঘ্য
186) র্চ = র + চ; যেমন- অর্চনা
187) র্চ্য = র + চ + য; যেমন- অর্চ্য (পূজনীয়)
188) র্ছ = র + ছ; যেমন- মূর্ছনা
189) র্জ = র + জ; যেমন- অর্জন
190) র্জ্য = র + জ + য; যেমন- বর্জ্য
191) র্ঝ = র + ঝ; যেমন- নির্ঝর
192) র্ট = র + ট; যেমন- আর্ট, কোর্ট, কম্ফর্টার, শার্ট, কার্টিজ, আর্টিস্ট, পোর্টম্যানটো, সার্টিফিকেট, কনসার্ট, কার্টুন, কোয়ার্টার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
193) র্ড = র + ড; যেমন- অর্ডার, লর্ড, বর্ডার, কার্ড (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
194) র্ঢ্য = র + ঢ + য; যেমন- দার্ঢ্য (অর্থাৎ দৃঢ়তা)
195) র্ণ = র + ণ; যেমন- বর্ণ
196) র্ণ্য = র + ণ + য; যেমন- বৈবর্ণ্য (বিবর্ণতা)
197) র্ত = র + ত; যেমন- ক্ষুধার্ত
198) র্ত্য = র + ত + য; যেমন- মর্ত্য
199) র্ত্র = র + ত + র; যেমন- কর্ত্রী
200) র্থ = র + থ; যেমন- অর্থ
201) র্থ্য = র + থ + য; যেমন- সামর্থ্য
202) র্দ = র + দ; যেমন- নির্দয়
203) র্দ্ব = র + দ + ব; যেমন- নির্দ্বিধা
204) র্দ্র = র + দ + র; যেমন- আর্দ্র
205) র্ধ = র + ধ; যেমন- গোলার্ধ
206) র্ধ্ব = র + ধ + ব; যেমন- ঊর্ধ্ব
207) র্ন = র + ন; যেমন- দুর্নাম
208) র্প = র + প; যেমন- দর্প
209) র্ফ = র + ফ; যেমন- স্কার্ফ (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
210) র্ব্য = র + ব + য; যেমন- নৈর্ব্যক্তিক
211) র্ভ = র + ভ; যেমন- গর্ভ
212) র্ম = র + ম; যেমন- ধর্ম
213) র্ম্য = র + ম + য; যেমন- নৈষ্কর্ম্য
214) র্য = র + য; যেমন- আর্য
215) র্ল = র + ল; যেমন- দুর্লভ
216) র্শ = র + শ; যেমন- স্পর্শ
217) র্শ্ব = র+ শ + ব; যেমন- পার্শ্ব
218) র্শ্য = র + শ + য; যেমন- অস্পর্শ্য
219) র্ষ = র + ষ; যেমন- ঘর্ষণ
220) র্ষ্য = র + ষ + য; যেমন- ঔৎকর্ষ্য
221) র্স = র + স; যেমন- জার্সি, নার্স, পার্সেল, কুর্সি (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
222) র্হ = র + হ; যেমন- গার্হস্থ্য
223) র্হ্য = র + হ + য; যেমন- গর্হ্য
224) ল্ফ = ল + ফ; যেমন- গল্ফ (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
225) ল্ভ = ল + ভ; যেমন- প্রগল্ভ
226) ল্ক = ল + ক; যেমন- শুল্ক
227) ল্ক্য = ল + ক + য; যেমন- যাজ্ঞবল্ক্য
228) ল্গ = ল + গ; যেমন- বল্গা
229) ল্ট = ল + ট; যেমন- উল্টো
230) ল্ড = ল + ড; যেমন- ফিল্ডিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
231) ল্প = ল + প; যেমন- বিকল্প
232) ল্ব = ল + ব; যেমন- বিল্ব, বাল্ব
233) ল্ম = ল + ম; যেমন- গুল্ম
234) ল্য = ল + য; যেমন- তারল্য
235) ল্ল = ল + ল; যেমন- উল্লাস
236) শ্চ = শ + চ; যেমন- পুনশ্চ
237) শ্ছ = শ + ছ; যেমন- শিরশ্ছেদ
238) শ্ন = শ + ন; যেমন- প্রশ্ন
239) শ্ব = শ + ব; যেমন- বিশ্ব
240) শ্ম = শ + ম; যেমন- জীবাশ্ম
241) শ্য = শ + য; যেমন- অবশ্য
242) শ্র = শ + র; যেমন- মিশ্র
243) শ্ল = শ + ল; যেমন- অশ্লীল
244) ষ্ক = ষ + ক; যেমন- শুষ্ক
245) ষ্ক্র = ষ + ক + র; যেমন- নিষ্ক্রিয়
246) ষ্ট = ষ + ট; যেমন- কষ্ট
247) ষ্ট্য = ষ + ট + য; যেমন- বৈশিষ্ট্য
248) ষ্ট্র = ষ + ট + র; যেমন- রাষ্ট্র
249) ষ্ঠ = ষ + ঠ; যেমন- শ্রেষ্ঠ
250) ষ্ঠ্য = ষ + ঠ + য; যেমন- নিষ্ঠ্যূত
251) ষ্ণ = ষ + ণ; যেমন- কৃষ্ণ
252) ষ্প = ষ + প; যেমন- নিষ্পাপ
253) ষ্প্র = ষ + প + র; যেমন- নিষ্প্রয়োজন
254) ষ্ফ = ষ + ফ; যেমন- নিষ্ফল
255) ষ্ব = ষ + ব; যেমন- মাতৃষ্বসা
256) ষ্ম = ষ + ম; যেমন- উষ্ম
257) ষ্য = ষ + য; যেমন- শিষ্য
258) স্ক = স + ক; যেমন- মনোস্কামনা
259) স্ক্র = স + ক্র; যেমন- ইস্ক্রু (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
260) স্খ = স + খ; যেমন- স্খলন
261) স্ট = স + ট; যেমন- স্টেশন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
262) স্ট্র = স + ট্র; যেমন- স্ট্রাইক (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
263) স্ত = স + ত; যেমন- ব্যস্ত
264) স্ত্ব = স + ত + ব; যেমন- বহিস্ত্বক
265) স্ত্য = স + ত + য; যেমন-অস্ত্যর্থ
266) স্ত্র = স + ত + র; যেমন- স্ত্রী
267) স্থ = স + থ; যেমন- দুঃস্থ
268) স্থ্য = স + থ + য; যেমন- স্বাস্থ্য
269) স্ন = স + ন; যেমন- স্নান
270) স্প = স + প; যেমন- আস্পর্ধা
271) স্প্ল = স + প + ল; যেমন- স্প্লিন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
272) স্প্র = স + প +র; যেমন- স্প্রিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
273) স্ফ = স + ফ; যেমন- আস্ফালন
274) স্ব = স + ব; যেমন- স্বর
275) স্ম = স + ম; যেমন- স্মরণ
276) স্য = স + য; যেমন- শস্য
277) স্র = স + র; যেমন- অজস্র
278) স্ল = স + ল; যেমন- স্লোগান
279) হৃ = হ + ৃ; যেমন- হৃৎপিন্ড
280) হ্ণ = হ + ণ; যেমন- অপরাহ্ণ
281) হ্ন = হ + ন; যেমন- চিহ্ন
282) হ্ব = হ + ব; যেমন- আহ্বান
283) হ্ম = হ + ম; যেমন- ব্রাহ্মণ
284) হ্য = হ + য; যেমন- বাহ্য
285) হ্র = হ + র; যেমন- হ্রদ
286) হ্ল = হ + ল; যেমন- আহ্লাদ
যুক্তবর্ণ বলতে একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণের সমষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। বাংলা লিখনপদ্ধতিতে যুক্তবর্ণের একটি বিশেষ স্থান আছে। এগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপাদান বর্ণগুলির চেয়ে দেখতে ভিন্ন, ফলে নতুন শিক্ষার্থীর এগুলি লেখা আয়ত্ত করতে সময়ের প্রয়োজন হয়।
যুক্তবর্ণগুলি বাংলা লিখন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য। উচ্চারিত ধ্বনির সাথে এগুলির উপাদান ব্যঞ্জনবর্ণের নির্দেশিত ধ্বনির সবসময় সরাসরি সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে। যেমন - পক্ব -এর উচ্চারণ পক্কো; বানানে ব-ফলা থাকলেও উচ্চারণে ব ধ্বনিটি অনুপস্থিত। রুক্ষ-এর উচ্চারণ রুক্খো; বানানের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষ যুক্তবর্ণটি ক ও ষ-এর যুক্তরূপ হলেও উচ্চারণ হয় ক্খ। বানান ও ধ্বনির এই অনিয়মও শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তবর্ণের সঠিক ব্যবহারে একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১
শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০১১
বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১১
আমার ভালোবাসা তোমার প্রতি রইল
আমার ভালোবাসা তোমার প্রতি রইল
চোখের আড়ালে চলে গেলে আমি
মনের আঙিনায় রইব
চোখের আড়ালে চলে গেলে আমি
মনের আঙিনায় রইব
চলেছি অজনা দেশে
আশা বুকে নিয়ে
আবার হবে তো দেখা
হৃদয়ের কাছাকাছি
চলে এসো বন্ধু
এঁকে দেই প্রেমরেখা
শত অচেনার মাঝে
যদিও থাকো তুমি
দেখেই চিনে লইব
আশা বুকে নিয়ে
আবার হবে তো দেখা
হৃদয়ের কাছাকাছি
চলে এসো বন্ধু
এঁকে দেই প্রেমরেখা
শত অচেনার মাঝে
যদিও থাকো তুমি
দেখেই চিনে লইব
নিয়তির ডাকে দিতে হবে সাড়া
তাইতো চলেছি আমি
সইতে হবে গো বিরহ বেদনা
ক্ষণিকের দুনিয়াদারি
শেষে পরমদিনে তুমি আর আমি
প্রেমের দোলনায় দুলব
তাইতো চলেছি আমি
সইতে হবে গো বিরহ বেদনা
ক্ষণিকের দুনিয়াদারি
শেষে পরমদিনে তুমি আর আমি
প্রেমের দোলনায় দুলব
———————–
মোহাম্মদ ইব্রাহীম
মোহাম্মদ ইব্রাহীম
এইডস, কারণ ও প্রতিকার
AIDS
চারটি ইংরেজি শব্দ Acquired Immune Deficiency Syndrom এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল AIDS (এইডস)। আবার তিনটি ইংরেজী শব্দ Human Immunodeficiency Virus এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল HIV (এইচআইভি)। এইচআইভির কারনে এইডস হয়। কোন রোগ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য শরীরের স্বাভাবিক ক্ষমতাকে এইচআইভি ক্রমান্বায়ে ধ্বংস করে দেয়। তাই, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি অতি সহজেই যেকোন রোগে (যেমন: নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ডায়রিয়া) আক্রান্ত হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এইডস এর কোন প্রতিষেধক বা কার্যকর ওষুধ এখনও আবিষ্কার করতে পারেনি।মানবদেহে এইচআইভি প্রবেশ করার সাথে সাথেই শরীরে এইডস এর লক্ষণ দেখা যায় না। এইচআইভি শরীরে প্রবেশ করার ঠিক কতদিন পর একজন ব্যক্তির মধ্যে এইডস এর লক্ষণ দেখা দেবে তা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়। তবে এটা মনে করা হয়ে থাকে যে, এইচআইভি সংক্রমণের শুরু থেকে এইডস- এ উত্তরণ পর্যন্ত সময়ের ব্যাপ্তি সাধারণত ৬ মাস থেকে বেশ কয়েক বৎসর এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ৫-১০ বৎসর অথবা তারও বেশি। এই সুপ্তাবস্থার তাৎপর্য হচ্হে, এই সময়ের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমিত একজন ব্যক্তি (যার শরীরে এইডস -এর কোন লক্ষণ যায় নি বা যে আপাতদৃষ্টিতে সুস্খ) তার অজান্তেই অন্য একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে এইচআইভি ছড়িয়ে দিতে পারে।
এইডস এর প্রধান লক্ষনসমূহ
এইডস -এর নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই। তবে, এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তি অন্য যে রোগে আক্রান্ত হয় সে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে: (১) শরীরের ওজন অতি দ্রুত হ্রাস পাওয়া (২) দীর্ঘদিন (দুমাসেরও বেশি সময়) ধরে পাতলা পায়খানা (৩) পুন: পুন: জ্বর হওয়া বা রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া (৪) অতিরিক্ত অবসাদ অনুভব হওয়া (৫) শুকনা কাশি হওয়া ইত্যাদি।
উল্ল্যেখ যে কারো মধ্যে উপরিউক্ত একাধিক লক্ষণ দেখা দিলেই তার এইডস হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। তবে, কোন ব্যক্তির এসব লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
এইচআইভি কিভাবে সংক্রমিত হয়
বায়ু, পনি, খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়ায় বা স্পর্শে এইচআইভি ছড়ায় না। এইচআইভি মানবদেহের কয়েকটি নির্দিষ্ট তরল পদার্থে (রক্ত, বীর্য, বুকের দুধ) বেশি থাকে। ফলে, মানব দেহের এই তরল পদার্থগলো আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে যে যে উপায়ে এইচআইভি ছড়াতে পারে তা হল:
১) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত ব্যাক্তির দেহে পরিসঞ্চালন করলে
২) আক্রান্ত ব্যাক্তি কতৃক ব্যবহৃত সুচ বা সিরিঞ্জ অন্য কোন ব্যাক্তি ব্যবহার করলে
৩) আক্রান্ত ব্যক্তির কোন অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করলে
৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তানের মায়ের দুধ পানকালে)
৫) অনৈতিক ও অনিরাপদ দৈহিক মিলন করলে
এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ
এইচআইভি সংক্রমণের উপায়গুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা এইডস প্রতিরোধ করতে পারি। এইডস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা হল:
১) অন্যের রক্ত গ্রহণ বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনে আগে রক্তে এইচআইভি আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া
২) ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারই নতুন সুচ/সিরিঞ্জ ব্যবহার করা
৩) অনিরাপদ যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা
৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ বা সন্তানকে বুকের দুধ দেয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
৫) কোন যৌন রোগ থাকলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া
যৌনরোগ এবং এইচআইভি
ইংরেজি শব্দাবলী Sexually Transmitted Disease এবং Sexually Transmitted Infection এর সংক্ষিপ্ত নাম যথাক্রমে এসটিডি (STD) এবং এসটিআই (STI)। এসব রোগ বা সংক্রমণ সাধারণত অনিরাপদ যৌনমিলনে মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। কিছু কিছু যৌনরোগ যৌনমিলন ছাড়া অন্য উপয়েও সংক্রমিত হতে পারে। যৌনরোগসমূহ ভাইরাসঘটিত অথবা ব্যকটেরিয়া ঘটিত হতে পারে। এ ধরনের প্রধান রোগগুলো হল: গনোরিয়া, সিফিলিস, ক্ল্যামিডিয়া, এইচআইভি, জননেন্দ্রিয়ের চর্মরোগ ও ফোঁড়া, হেপাটাইটিস-বি ইত্যাদি। এসব রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হল: যননাঙ্গ বা এর আশেপাশে ঘা/চুলকানি হওয়া, প্রসাবের সময় ব্যথা ও জ্বালা করা, যৌনাঙ্গ থেকে পুঁজ পড়া ইত্যাদি।
যৌনরোগ এবং এইচআইভির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। যাদের কোন যৌনরোগ রয়েছে তাদের এইচআইভি দ্বরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেকগুণ বেশি।
এইডস অক্রান্ত ব্যাক্তির পরিচর্যা
মরণব্যাধি এইডস এর পরিণতি আমরা জানি। একজন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি অতি সহজেই অন্যকে সংক্রমিত করে না এবং অক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে না। তাই আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিকে আমাদের সামজ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। তাকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে উৎসাহিত করতে হবে। সুতরাং তাদের প্রতি আমাদের করনীয় হবে:
১) এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করা,
২) তাদেরকে মানসিকভাবে প্রফুল্র রাখার চেষ্টা করা এবং তাদের প্রতি যত্নবান হওয়া,
৩) তাদেরকে অন্যান্য সবার মত সমান সুযোগ দেয়া,
৪) এইচআইভি অক্রান্তদের নিত্য-নৈমিত্তিক কাজ থেকে বঞ্চিত না করা,
৫) পরিবারের ও সমাজের অন্যান্য সদস্যগণ কতৃক এদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
আমার এই জীবন মরণ শুধুই তোমার
আমার এই জীবন মরণ শুধুই তোমার
আর কারো নয়
তুমি যে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলে
আমার হৃদয়
আর কারো নয়
তুমি যে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলে
আমার হৃদয়
তোমারি মনের কাছে শিখে নিলাম আমি
জগতে প্রেম যে হলো সবার চেয়ে দামী
এতোদিন যা পেয়েছি আসল সে নয় নকল প্রণয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয়
জগতে প্রেম যে হলো সবার চেয়ে দামী
এতোদিন যা পেয়েছি আসল সে নয় নকল প্রণয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয়
কাগজের ফুলের বাগান অনেক দূরে ফেলে
তুমি যে সত্যিকারের গোলাপ হয়ে এলে
গন্ধেই চিনিয়ে দিলে তোমার প্রাণের সব পরিচয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয়
তুমি যে সত্যিকারের গোলাপ হয়ে এলে
গন্ধেই চিনিয়ে দিলে তোমার প্রাণের সব পরিচয়
তুমি যে ভালোবাসার ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয়
পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়
বলো বলো সুন্দরী কার দাম বেশী
বলো বলো সুন্দরী কার দাম বেশী
পয়সার দাম নাকি প্রেমে ধরা হাসি
পয়সাটা নিয়ে যায় না বলে না কেউ
তাজা প্রেম তলায় না হয় নাকো বাসি
পয়সার দাম নাকি প্রেমে ধরা হাসি
পয়সাটা নিয়ে যায় না বলে না কেউ
তাজা প্রেম তলায় না হয় নাকো বাসি
তুমি আমার আমি তোমার
আর যেন কেউ না হয় তোমার
শুনে শুনে কান পচে যায়
নেই তুলনা তবু একথার
আর যেন কেউ না হয় তোমার
শুনে শুনে কান পচে যায়
নেই তুলনা তবু একথার
সবার বড় সবার উঁচু
কেউ যদি রয় পৃথিবীতে
নাম তার প্রেম আসনটা তার
পারবেনা তো কেউ সরাতে
কেউ যদি রয় পৃথিবীতে
নাম তার প্রেম আসনটা তার
পারবেনা তো কেউ সরাতে
‘সুন্দরীতে সাবধান'
সম্প্রতি এক মজার তথ্য জানা গেছে, নারী, বিশেষ করে তিনি যদি হন সুন্দরী, সেক্ষেত্রে নাকি পুরুষ স্বাস্থ্যের তিনি হানি করতেও পারেন! জানা গেছে, একজন পুরুষ কোনো সুন্দরী নারীর সঙ্গে ৫ মিনিট সময় কাটালেই ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা। কোনো রসিক সাহিত্যিক নন, গবেষকরাই বলেছেন এ কথা। আর এ দুর্ঘটনার ধরনটি হতে পারে শারীরিক বা মানসিক। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইন-এর।
স্পেনের ইউনিভার্সিটি অফ ভ্যালেন্সিয়া-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, কোনো সুন্দরীর সঙ্গে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় কাটানোর অর্থই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করা। গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সুন্দরী নারীর সঙ্গে মাত্র ৫ মিনিট সময় কাটালে পুরুষের শরীর থেকে কর্টিসল নামের একটি হরমোন নির্গত হয়। শরীরে কর্টিসল তৈরি হয় কোনো শারিরীক বা মানসিক চাপের ফলে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় হার্টের সমস্যাও ।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, সুন্দরী নারীর সংস্পর্শে এলে সমস্যা আরো জোরালো হয় তখনই যখন কোনো পুরুষ জানতে পারে এই সুন্দরী তার ধরাছোঁয়ার বাইরে অথবা কোনোদিনই এ নারীকে তার পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়। জানা গেছে, এমনতরো পরিস্থিতিতেই নাকি এই কর্টিসল শরীরে মানসিক দুশ্চিন্তা বা চাপ তৈরি করে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই গবেষণায় ৮৪ জন পুরুষকে আলাদা আলাদাভাবে একটি কক্ষে সুডোকু মেলাতে দেয়া হয়েছিলো। সেখানে অচেনা একজন সুন্দরী মেয়ে এবং আরো একটি পুরুষও ছিলো। জানা গেছে, ঘরে তিনজন থাকা অবস্থায় হঠাৎ মেয়েটি চলে গেলে দুইজন পুরুষের কারোরই কর্টিসল লেভেল বাড়েনি। কিন্তু একজন পুরুষ ঘর ছেড়ে যেতেই বেড়ে গিয়েছিলো আরেকজন পুরুষের কর্টিসলের মাত্রা!
গবেষকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ পুরুষই যখন কোনো সুন্দরীকে একা পান তখন সে পরিস্থিতিকে মনে করেন সম্পর্ক তৈরির একটি সুযোগ। আবার অনেক পুরুষই সুন্দরী নারীদের এড়িয়ে যান। কারণ, তারা ধারণা করেন, এসব সুন্দরী তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে বেশির ভাগ সময়ই পুরুষরা হরমোনঘটিত এ প্রক্রিয়ায় সাড়া দেয় বলেই জানা গেছে।
অবশ্য সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কর্টিসল-এর কিছু ভালো দিকও আছে। তারপরও এটির হঠাৎ মাত্রা বৃদ্ধি হার্টের সমস্যা, ডায়েবেটিক, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি রোগের কারণ হতে পারে। তাই গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘সুন্দরীতে সাবধান’।
স্পেনের ইউনিভার্সিটি অফ ভ্যালেন্সিয়া-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, কোনো সুন্দরীর সঙ্গে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় কাটানোর অর্থই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করা। গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সুন্দরী নারীর সঙ্গে মাত্র ৫ মিনিট সময় কাটালে পুরুষের শরীর থেকে কর্টিসল নামের একটি হরমোন নির্গত হয়। শরীরে কর্টিসল তৈরি হয় কোনো শারিরীক বা মানসিক চাপের ফলে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় হার্টের সমস্যাও ।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, সুন্দরী নারীর সংস্পর্শে এলে সমস্যা আরো জোরালো হয় তখনই যখন কোনো পুরুষ জানতে পারে এই সুন্দরী তার ধরাছোঁয়ার বাইরে অথবা কোনোদিনই এ নারীকে তার পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়। জানা গেছে, এমনতরো পরিস্থিতিতেই নাকি এই কর্টিসল শরীরে মানসিক দুশ্চিন্তা বা চাপ তৈরি করে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই গবেষণায় ৮৪ জন পুরুষকে আলাদা আলাদাভাবে একটি কক্ষে সুডোকু মেলাতে দেয়া হয়েছিলো। সেখানে অচেনা একজন সুন্দরী মেয়ে এবং আরো একটি পুরুষও ছিলো। জানা গেছে, ঘরে তিনজন থাকা অবস্থায় হঠাৎ মেয়েটি চলে গেলে দুইজন পুরুষের কারোরই কর্টিসল লেভেল বাড়েনি। কিন্তু একজন পুরুষ ঘর ছেড়ে যেতেই বেড়ে গিয়েছিলো আরেকজন পুরুষের কর্টিসলের মাত্রা!
গবেষকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ পুরুষই যখন কোনো সুন্দরীকে একা পান তখন সে পরিস্থিতিকে মনে করেন সম্পর্ক তৈরির একটি সুযোগ। আবার অনেক পুরুষই সুন্দরী নারীদের এড়িয়ে যান। কারণ, তারা ধারণা করেন, এসব সুন্দরী তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে বেশির ভাগ সময়ই পুরুষরা হরমোনঘটিত এ প্রক্রিয়ায় সাড়া দেয় বলেই জানা গেছে।
অবশ্য সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কর্টিসল-এর কিছু ভালো দিকও আছে। তারপরও এটির হঠাৎ মাত্রা বৃদ্ধি হার্টের সমস্যা, ডায়েবেটিক, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি রোগের কারণ হতে পারে। তাই গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘সুন্দরীতে সাবধান’।
বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১১
ভালবাসার সময় তো নেই – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ভালবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।
ঘামের জলে ভিজে সাবাড়
করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।
কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।
নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।
তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।
ঘামের জলে ভিজে সাবাড়
করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।
কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।
নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।
তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।
ভালবাসার দিনে ভালবাসার কবিতা
একটু খানি
একটু খানি হাসি দিলে
একটু অভিমানে,
অমনি আমি ছুটে এলাম
ভালবাসার টানে।
একটু খানি কাছে এসে
একটু দিলে আদর,
অমনি তোমায় বিছিয়ে দিলাম
ভালবাসার চাদর।
একটু খানি হাত বাড়িয়ে
ধরলে যেদিন হাতে,
ঘুম কাতুরের ঘুম নিয়েছ
সুখ নিয়েছ সাথে।
একটু খানি হাসি দিলে
একটু অভিমানে,
অমনি আমি ছুটে এলাম
ভালবাসার টানে।
একটু খানি কাছে এসে
একটু দিলে আদর,
অমনি তোমায় বিছিয়ে দিলাম
ভালবাসার চাদর।
একটু খানি হাত বাড়িয়ে
ধরলে যেদিন হাতে,
ঘুম কাতুরের ঘুম নিয়েছ
সুখ নিয়েছ সাথে।
যাযাবর ভালবাসা – আহমেদ সালাহউদ্দিন সুপ্রিয়
এই সেই রাস্তা,
যেখানে হেঁটে হেঁটে বহুদূরে
হারিয়েছে কনো এক যুবক মাতাল।
বুকে তার ছিলনা কোন প্রেমের বাগান,
আথবা চায়নি সে আধখানা চাঁদ আর কুমারী রাত,
সিনায় সিনায়, রক্তে রক্তে উষ্ণ পরশ।
চেয়েছিল ছোট একচালা ঘর, এক মুঠো ভাত,
চেয়েছিল রোদেলা বিকেল আর আধখানা সিগেরেট,
একটু স্বাধীনতা, নিজেকে নিজের মতো সাজাবার।
যখন আকাশে নামে পূর্নিমা রাত,
পলকে পলকে যায় নির্ঘুম প্রহর,
স্মৃতির পলিতে জমে শিশির হাজার।
বলে দিয়ে যায় তারে,
হলো তো অনেক, কতো আর আবিচার নিজেরই ওপর,
পথ থাকে পথের পরে, তুমি পথচারি।
যতদুরে চলে যাও, নিয়ে যাবে সবই।
বদলাবে পৃথিবী, মানু্ষ, প্রতিদিনই।
বদলাবে কবে তুমি,
আঁকবে কবে ভোর, সোনালী সোপান।
চিৎকার দিয়ে বলে যুবক,
কবিতার কসম, ধ্বংস করে সবকিছু,
গড়ে নিব আবার নিজেরই আবাস,
যতই থাকিনা কেন বহুদুর,
একদিনতো শেষ হবেই দুর পরবাস
হারিয়েছে কনো এক যুবক মাতাল।
বুকে তার ছিলনা কোন প্রেমের বাগান,
আথবা চায়নি সে আধখানা চাঁদ আর কুমারী রাত,
সিনায় সিনায়, রক্তে রক্তে উষ্ণ পরশ।
চেয়েছিল ছোট একচালা ঘর, এক মুঠো ভাত,
চেয়েছিল রোদেলা বিকেল আর আধখানা সিগেরেট,
একটু স্বাধীনতা, নিজেকে নিজের মতো সাজাবার।
যখন আকাশে নামে পূর্নিমা রাত,
পলকে পলকে যায় নির্ঘুম প্রহর,
স্মৃতির পলিতে জমে শিশির হাজার।
বলে দিয়ে যায় তারে,
হলো তো অনেক, কতো আর আবিচার নিজেরই ওপর,
পথ থাকে পথের পরে, তুমি পথচারি।
যতদুরে চলে যাও, নিয়ে যাবে সবই।
বদলাবে পৃথিবী, মানু্ষ, প্রতিদিনই।
বদলাবে কবে তুমি,
আঁকবে কবে ভোর, সোনালী সোপান।
চিৎকার দিয়ে বলে যুবক,
কবিতার কসম, ধ্বংস করে সবকিছু,
গড়ে নিব আবার নিজেরই আবাস,
যতই থাকিনা কেন বহুদুর,
একদিনতো শেষ হবেই দুর পরবাস
মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১১
ভালবাসার দিনে ভাললাগার মত একটি ভালবাসার কবিতা।
জান বন্ধু, তোমাকে খুব আপন মনে হয় কখনও পর করে দেখিনা। যখন তুমি চলে যাও, যাব কথা বল, তখন আমার বুক থেকে রক্ত ক্ষরিত হয়। আমি আমার ভালবাসার ভাগ কাউকে দিতে চাই না, এটা আমার পরম দাবী শরীর থেকে একটা অংশ বিচ্ছিন্ন হলে যে রকম কষ্ট তুমি চলে গেলে তার চেয়ে বেশী কষ্ট হবে। তোমাকে আমি কতটা ভালবাসি এটা আমার মনের মত করে তোমাকে বেঝাতে পারিনি। কিছুটা অপূর্নতা রয়েগেছে তুমি বুঝে নিও। তবে পৃথিবীর বিনিময়েও যে তোমাকে একান্ত আপন করে চাই এটা সত্য। যেদিন তোমাকে আমি সত্যিকার ভাবে পাব সেদিন আমার মনের মত করে তোমাকে আরও ভলবাসব। আদর সেহাগ আর ভালবাসা দিয়ে তোমাকে তোমার জীবনকে ভরিয়ে দেব। আমিকি তোমর কাছে কিছু আশা করতে পারিনা বন্ধু?। সামান্য কোন ব্যাপার নিয়ে আমার সাথে রাগ কর। আমি খুব কষ্ট পাই বন্ধু। মাঝে মাঝে তোমার সাথে হয়ত কিছু অভিমান হয় তুমি এতে মাইন্ড করনা অতিথী পাখি হয়ে আমার জীবনে এসোনা তা হলে খুব কষ্ট পাব। আমার মত করে আমাকে ভালবাস আমাকে একটু বোঝার চেষ্টা কর। তুমি যত বর হওনা কেন আমি আমার ভালবাসার মূল্য দিয়ে তোমাকে কিনতে চাই। আমি ভুল করবনা সঠিক জিনিসই কিনব।
যতবার তোমাকে
যতবার তোমাকে দেখি ততবার ভরে উঠে
ঐশ্বরিক জ্যোতিতে আমার দু’ নয়ন।
যতবার তোমার হাতখানি ধরি,
ততবার একটি সত্য প্রতিজ্ঞা করি পূরণ।
যতবার তোমাকে আগলে ধরি আমার শীর্ণ বুকে,
ততবার আলিঙ্গন করি নতুন এক জীবন।
যতবার তোমার ওষ্ঠে একে দিই প্রগাঢ় চুম্বন,
ততবার আমি হয়ে যাই সদ্যজাত নিষ্পাপ এক শিশু সন্তান।
যতবার আমি তোমাকে বলি ভালবাসি ভালবাসি,
ততবার শিখি একটি সত্য শব্দ উচ্চারণ।
যতবার আমি তোমাতে করি অবগাহন,
ততবার আমি গ্রহণ করি শুদ্ধ পুনর্জনম।
জোছনা জোয়ারে আলোকিত হয়ে থাক আমাদের মধুর মিলন।
ঐশ্বরিক জ্যোতিতে আমার দু’ নয়ন।
যতবার তোমার হাতখানি ধরি,
ততবার একটি সত্য প্রতিজ্ঞা করি পূরণ।
যতবার তোমাকে আগলে ধরি আমার শীর্ণ বুকে,
ততবার আলিঙ্গন করি নতুন এক জীবন।
যতবার তোমার ওষ্ঠে একে দিই প্রগাঢ় চুম্বন,
ততবার আমি হয়ে যাই সদ্যজাত নিষ্পাপ এক শিশু সন্তান।
যতবার আমি তোমাকে বলি ভালবাসি ভালবাসি,
ততবার শিখি একটি সত্য শব্দ উচ্চারণ।
যতবার আমি তোমাতে করি অবগাহন,
ততবার আমি গ্রহণ করি শুদ্ধ পুনর্জনম।
জোছনা জোয়ারে আলোকিত হয়ে থাক আমাদের মধুর মিলন।
যদি না আসো
কাল যদি তুমি না আসো
আমি তবে ডাকবো ধর্মঘট।
পাশে যদি না বসো
মনে রেখ হরতাল হবে
সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে।
অচল হয়ে যাবে নগরী
সবাই তখন মুখ গুজে ঘুমাবে।
আমায় যদি ভাল না বাসো
করবো আমি অনেশন
তোমার বাড়ির সামনে ।
কথা যদি না বল
অকোজ করে দেব মোবাইল কোম্পানি
ঘুম আর স্বপ্ন
আমার আয়ত্বের বাহিরে থাকবে না ।
আমি তবে ডাকবো ধর্মঘট।
পাশে যদি না বসো
মনে রেখ হরতাল হবে
সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে।
অচল হয়ে যাবে নগরী
সবাই তখন মুখ গুজে ঘুমাবে।
আমায় যদি ভাল না বাসো
করবো আমি অনেশন
তোমার বাড়ির সামনে ।
কথা যদি না বল
অকোজ করে দেব মোবাইল কোম্পানি
ঘুম আর স্বপ্ন
আমার আয়ত্বের বাহিরে থাকবে না ।
ইভ টিজিং-এ কি শুধু ছেলেরা দায়ী
সময় প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে দিন, মানুষ, মানুষের মন-মানসিকতা। নতুন নতুন পরিবর্তন ঘটছে প্রতি মূহুর্তে। এই পৃথিবী বহু বড় , এবং এখানে বসবাস বহু মানুষের। রয়েছে নানান দেশ , নানা জাতি। আমরা জতি হিসেবে বাঙ্গালী। আমাদের নিজস্ব কিছু কৃষ্টি-কালচার আছে। আমাদের এই কালচার কয়েক দিনের সৃষ্টি নয় , এটি বহু বছর আগের সৃষ্টি। যা কালে কালে পরিবর্তিত হয়ে এই রূপধারন করেছে। তবে (আমার মনে হয়) বিগত ২-৩ শতকে এই কালচারের যে পরিবর্তন হয়েছে , তার চেয়ে গত ১০-১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন ঘটেছে আমাদের জীবন ব্যবস্থার। এই জীবন ব্যবস্থা আমাদের জন্য যেমন সুফল বয়ে নিয়ে এনেছে, তেমনি তার কুফল ও কিন্তু কম নয়। কিছু দিন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছিলো যে "পৃথিবীতে হারাম জিনিসের সংখ্যা বেশি, নাকি হালাল জিনিসের সংখ্যা বেশি" আমি উত্তর দিয়েছিলাম এমন "হালাল যা আছে তার চেয়ে হারামের সংখ্যা ২০-৩০ গুনবেশি"। কিন্তু আমার সে বন্ধু আমাকে বললো যে "না" হারাম নয় হালালের সংখ্যাই বেশি। সে বললো "আমরা হালাল যেটা সেটা ব্যবহার করি কম, আর হারাম যেটা সেটা ব্যবহার করি বেশি"। আমি তার এই যুক্তিকে অগ্রাহ্য করতে পারলাম না। কারন আমার কাছে এটা সত্য মনে হয়েছে।
আমারা বাঙ্গালীরা বিশেষ করে বাংলাদেশীরা ইদানিং বেশ মর্ডান বা আধুনিক হতে শুরু করেছি যা মোটামুটি চোখে পড়ার মত। যদি এই আধুনিকতা নিয়ে আলোচনা করতে যাই তবে প্রথমে আসে পোষাকের কথা। আগে (এখানে আগে বলতে বিগত ৫০-৬০ বছরের কথা বুঝানো হচ্ছে) এদেশের ছেলেদের প্রধান পোষাক এর তালিকায় ছিলো প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি। আর মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস। হ্যাঁ এখনো ছেলেরা প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি পরে। তবে পাথর্ক্য হচ্ছে এই যে আগে প্যান্ট গুলো জিন্স ছিলো না এখন তা জিন্সের হয়ে। শুধু জিন্স নিয়ে ক্ষান্ত নয় বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ প্যান্ট ছিড়া এই ছিড়া জিন্সের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও বেশি এবং মার্কেটে যে প্যান্ট যত বেশি ছিড়া সে প্যান্ট তত বেশি দামী। যে প্যান্ট যত বেশি কুচকানো সে প্যান্ট তত বেশি সুন্দর বলে বিবেচ্য হয়। যারা বেশি দাম দিয়ে ঐ ছিড়া প্যান্ট কিনার রুচি রাখে না, তারা জিন্সের-ই তৈরি শালীন প্যান্ট গুলো পরে। আবার কিছু আছে ইচ্ছা করে সেই শালীন প্যান্ট গুলো কেটে জোড়া-তালি-রিপু করে তারপর পরে। তারপর আসে শার্ট। শার্ট এখন আর শার্ট নেই এটা বর্তমানে মোবাইল শার্ট, টি শার্ট ইত্যাদি নাম ধারন করেছে।
শুনতে খারাপ লাগলে ও সত্য, ছেলেরা যদি শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ৭৫ ভাগ কাপড় দিয়ে ঢাকে, তবে বেশির ভাগ মেয়েরা তাদের শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ২৫ ভাগ মাত্র কাপড় দিয়ে ঢাকে। বর্তমানে একটা ব্যপার লক্ষনীয় ব্যপারটা হচ্ছে "ইভ টিজিং"।
কিছু দিনা আগে "বাংলাদেশ প্রতিদিন" পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতাতে আব্দুস সালাম নামে একব্যক্তি "নিজে সচেতন হন" নামে একটি লেখা লিখেছেন। সেই লেখায় তিনি ইভ টিজিং এর ব্যপারে সবাই কে সচেতন হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন এই ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরা । এবং শেষে লিখেছেন আমাদের চিরাচারিত উক্তি "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো হতো ছেলেরা মেয়েদের টিজ করে, তবে মেয়েরাই তাতে ছেলেদের আগ্রহী করে তোলে। বাংলাদেশের মত ধর্ম ভীরু একটা দেশে যদি একটা মেয়ে ওড়ানা ছাড়া হাতাকাটা বডি ফিট টপস পরে তাদের স্তন জোড়া সবার চোখে সদৃশ করে তোলে, তার কোমরের নিচ হতে পায়ের গোড়লীর উপর পর্যন্ত টাইট-ফিট জিন্স পরে সবার সামনে ঘুরে বেড়ায়, তবে কেন একটা ছেলে সে ব্যপার নিয়ে কথা বলবে না? মেয়েটা যদি তার শালীনতা বজায় রাখতো তবে কোন ছেলে তাকে টিজ করার সুযোগ পেতোনা। আর সেই আব্দুস সালাম ভাই যে বলেছেন "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো আমাদের সাবার ঘরেই বোন না থাক মা অন্তত আছে। আমরা যদি আমাদের মা-বোন কে অশালীন পোষাক পরা হতে বিরত রাখি, তবে অবশ্যই তারা এই টিজিং এর হাত হতে অনেকাংশে রক্ষা পাবে। তবে হ্যাঁ কিছু ছেলে যে বখাটে তা আমি অস্বীকার করবোনা। কিন্তু সবাই যে বখাটে তা আমি কখনো স্বীকার করবোনা। আমাদের কানা সামাজের কানা হর্তা-কর্তা রা ইভ টিজিং এর জন্য ছেলেদের ই একক ভাবে দায়ী করে আসছে। এর জন্য যে মেয়েরা সমান অংশে দায়ী এটা তাদের চোখে পড়ছে না। আজ “বাংলাদেশ প্রতিদিন’’ পত্রিকার রকমারি পাতায় এসেছে “ইভ টিজিং হতে শুরু করে মেয়ে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়েই ছেলেদের অন্ধভাবে দায়ী করা হয়; কিন্তু সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ঠিক এর উল্টোটা। ব্রিটেনে বেশির ভাগ নারী ধর্ষন সহ বিভিন্ন দূরঘটনার জন্য ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশিদায়ী করেন। এক্ষেত্রে তারা নারীদের সংক্ষিপ্ত পোষাক, মদপান, উত্তেজক নৃত্য, অবাধে চলাফেরা ইত্যাদিকে দায়ী করেন’’।
ইভ টিজিং এর ফলে আত্মহত্যা ব্যাপারটা চোখ এড়ানোর মত নয়। প্রায় ২ মাস আগে ইভ টিজিং এর স্বীকার হয়ে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার খবর এসে ছিলো দেশের প্রায় সকল দৈনিক পত্রিকার প্রথম কিংবা শেষের পাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়াতে। পত্রিকায় এসেছে দুটি ছেলে প্রায় প্রতিদিন স্কুলের যাতায়তের পথে তারা মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো, প্রেম নিবেদন করতো, পথ আগলে দড়িয়ে তাকে অশ্লীল কথাবার্তা বলতো এবং মেয়েটি তার পরিবারকে ব্যাপারটি জানানোর পরে ও এর কোন প্রতিকার পায়নি। ঘটানার দিন সকালে সেই ছেলে দুইটি মেয়েটির বাসা গিয়ে তাকে বিয়ে করার কথা বলে, রাজি না হলে অন্য পথ অবলম্বনের কথা বলে ও বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলে চলে যায়। এরপর-ই মেয়েটি টয়লেটে গিয়ে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করে। এখানে প্রত্যেকটি আত্মহত্যা ঘটনায় রিপোর্টরা একটা ব্যপার বারবার অবহেলা করে যাচ্ছে। ব্যপারটি হলো মেয়েটির সাথে তার পরিবারের আচরন। ঘটনার দির সকালে ছেলে গুলো চলে যাবার পর মেয়েটি অভিভাবকরা মেয়েটির উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। যা খবরের অন্তরালে থেকে গিয়েছে। আমি সেই একই এলাকার বাসীন্দা হবার ফলে ব্যপারটা কিছুটা জানতে পারি। তো ঐ মেয়ে তখন-ই আত্মহত্যার পথবেছে নিলো, যখন তার অভিভাবকরা টিজিং এর কোন প্রতিকার করার ব্যবস্থা না করে উলল্টো তার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। টিজিং টা এমন কোন ব্যপার নয় যার জন্য আত্মহত্যা করতে হবে। যদি অভিভাবকদের সঠিক সহায়তা থাকে তবে কোন মেয়ে-ই আত্মহত্যার পথ বেছে নিবেনা।
আমার মতে এই সমস্যা গুলোর জন্য দায়ী আমাদের অপ-সমাজ ব্যবস্থা। অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতা। অপ-সংস্কৃতি। বিশেষ করে পশ্চিমাদের মত জীবনযাপনের চেষ্টা করার কারনে আজ আমাদের সমাজের এই অবস্থা। যে কোন জিনিসের এক অংশ নষ্ট রেখে আরেক অংশ ভালো করে কোন লাভ নেই। তাই ইভ টিজিং এ শুধু দায়ী ছেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ইভ টিজিং এর স্বীকার মেয়েদের ও এব্যপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। তবেই আমাদের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
আমারা বাঙ্গালীরা বিশেষ করে বাংলাদেশীরা ইদানিং বেশ মর্ডান বা আধুনিক হতে শুরু করেছি যা মোটামুটি চোখে পড়ার মত। যদি এই আধুনিকতা নিয়ে আলোচনা করতে যাই তবে প্রথমে আসে পোষাকের কথা। আগে (এখানে আগে বলতে বিগত ৫০-৬০ বছরের কথা বুঝানো হচ্ছে) এদেশের ছেলেদের প্রধান পোষাক এর তালিকায় ছিলো প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি। আর মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস। হ্যাঁ এখনো ছেলেরা প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি পরে। তবে পাথর্ক্য হচ্ছে এই যে আগে প্যান্ট গুলো জিন্স ছিলো না এখন তা জিন্সের হয়ে। শুধু জিন্স নিয়ে ক্ষান্ত নয় বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ প্যান্ট ছিড়া এই ছিড়া জিন্সের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও বেশি এবং মার্কেটে যে প্যান্ট যত বেশি ছিড়া সে প্যান্ট তত বেশি দামী। যে প্যান্ট যত বেশি কুচকানো সে প্যান্ট তত বেশি সুন্দর বলে বিবেচ্য হয়। যারা বেশি দাম দিয়ে ঐ ছিড়া প্যান্ট কিনার রুচি রাখে না, তারা জিন্সের-ই তৈরি শালীন প্যান্ট গুলো পরে। আবার কিছু আছে ইচ্ছা করে সেই শালীন প্যান্ট গুলো কেটে জোড়া-তালি-রিপু করে তারপর পরে। তারপর আসে শার্ট। শার্ট এখন আর শার্ট নেই এটা বর্তমানে মোবাইল শার্ট, টি শার্ট ইত্যাদি নাম ধারন করেছে।
শুনতে খারাপ লাগলে ও সত্য, ছেলেরা যদি শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ৭৫ ভাগ কাপড় দিয়ে ঢাকে, তবে বেশির ভাগ মেয়েরা তাদের শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ২৫ ভাগ মাত্র কাপড় দিয়ে ঢাকে। বর্তমানে একটা ব্যপার লক্ষনীয় ব্যপারটা হচ্ছে "ইভ টিজিং"।
কিছু দিনা আগে "বাংলাদেশ প্রতিদিন" পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতাতে আব্দুস সালাম নামে একব্যক্তি "নিজে সচেতন হন" নামে একটি লেখা লিখেছেন। সেই লেখায় তিনি ইভ টিজিং এর ব্যপারে সবাই কে সচেতন হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন এই ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরা । এবং শেষে লিখেছেন আমাদের চিরাচারিত উক্তি "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো হতো ছেলেরা মেয়েদের টিজ করে, তবে মেয়েরাই তাতে ছেলেদের আগ্রহী করে তোলে। বাংলাদেশের মত ধর্ম ভীরু একটা দেশে যদি একটা মেয়ে ওড়ানা ছাড়া হাতাকাটা বডি ফিট টপস পরে তাদের স্তন জোড়া সবার চোখে সদৃশ করে তোলে, তার কোমরের নিচ হতে পায়ের গোড়লীর উপর পর্যন্ত টাইট-ফিট জিন্স পরে সবার সামনে ঘুরে বেড়ায়, তবে কেন একটা ছেলে সে ব্যপার নিয়ে কথা বলবে না? মেয়েটা যদি তার শালীনতা বজায় রাখতো তবে কোন ছেলে তাকে টিজ করার সুযোগ পেতোনা। আর সেই আব্দুস সালাম ভাই যে বলেছেন "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো আমাদের সাবার ঘরেই বোন না থাক মা অন্তত আছে। আমরা যদি আমাদের মা-বোন কে অশালীন পোষাক পরা হতে বিরত রাখি, তবে অবশ্যই তারা এই টিজিং এর হাত হতে অনেকাংশে রক্ষা পাবে। তবে হ্যাঁ কিছু ছেলে যে বখাটে তা আমি অস্বীকার করবোনা। কিন্তু সবাই যে বখাটে তা আমি কখনো স্বীকার করবোনা। আমাদের কানা সামাজের কানা হর্তা-কর্তা রা ইভ টিজিং এর জন্য ছেলেদের ই একক ভাবে দায়ী করে আসছে। এর জন্য যে মেয়েরা সমান অংশে দায়ী এটা তাদের চোখে পড়ছে না। আজ “বাংলাদেশ প্রতিদিন’’ পত্রিকার রকমারি পাতায় এসেছে “ইভ টিজিং হতে শুরু করে মেয়ে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়েই ছেলেদের অন্ধভাবে দায়ী করা হয়; কিন্তু সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ঠিক এর উল্টোটা। ব্রিটেনে বেশির ভাগ নারী ধর্ষন সহ বিভিন্ন দূরঘটনার জন্য ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশিদায়ী করেন। এক্ষেত্রে তারা নারীদের সংক্ষিপ্ত পোষাক, মদপান, উত্তেজক নৃত্য, অবাধে চলাফেরা ইত্যাদিকে দায়ী করেন’’।
ইভ টিজিং এর ফলে আত্মহত্যা ব্যাপারটা চোখ এড়ানোর মত নয়। প্রায় ২ মাস আগে ইভ টিজিং এর স্বীকার হয়ে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার খবর এসে ছিলো দেশের প্রায় সকল দৈনিক পত্রিকার প্রথম কিংবা শেষের পাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়াতে। পত্রিকায় এসেছে দুটি ছেলে প্রায় প্রতিদিন স্কুলের যাতায়তের পথে তারা মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো, প্রেম নিবেদন করতো, পথ আগলে দড়িয়ে তাকে অশ্লীল কথাবার্তা বলতো এবং মেয়েটি তার পরিবারকে ব্যাপারটি জানানোর পরে ও এর কোন প্রতিকার পায়নি। ঘটানার দিন সকালে সেই ছেলে দুইটি মেয়েটির বাসা গিয়ে তাকে বিয়ে করার কথা বলে, রাজি না হলে অন্য পথ অবলম্বনের কথা বলে ও বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলে চলে যায়। এরপর-ই মেয়েটি টয়লেটে গিয়ে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করে। এখানে প্রত্যেকটি আত্মহত্যা ঘটনায় রিপোর্টরা একটা ব্যপার বারবার অবহেলা করে যাচ্ছে। ব্যপারটি হলো মেয়েটির সাথে তার পরিবারের আচরন। ঘটনার দির সকালে ছেলে গুলো চলে যাবার পর মেয়েটি অভিভাবকরা মেয়েটির উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। যা খবরের অন্তরালে থেকে গিয়েছে। আমি সেই একই এলাকার বাসীন্দা হবার ফলে ব্যপারটা কিছুটা জানতে পারি। তো ঐ মেয়ে তখন-ই আত্মহত্যার পথবেছে নিলো, যখন তার অভিভাবকরা টিজিং এর কোন প্রতিকার করার ব্যবস্থা না করে উলল্টো তার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। টিজিং টা এমন কোন ব্যপার নয় যার জন্য আত্মহত্যা করতে হবে। যদি অভিভাবকদের সঠিক সহায়তা থাকে তবে কোন মেয়ে-ই আত্মহত্যার পথ বেছে নিবেনা।
আমার মতে এই সমস্যা গুলোর জন্য দায়ী আমাদের অপ-সমাজ ব্যবস্থা। অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতা। অপ-সংস্কৃতি। বিশেষ করে পশ্চিমাদের মত জীবনযাপনের চেষ্টা করার কারনে আজ আমাদের সমাজের এই অবস্থা। যে কোন জিনিসের এক অংশ নষ্ট রেখে আরেক অংশ ভালো করে কোন লাভ নেই। তাই ইভ টিজিং এ শুধু দায়ী ছেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ইভ টিজিং এর স্বীকার মেয়েদের ও এব্যপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। তবেই আমাদের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
ভালোবাসার কবিতা!!!!
" আমার প্রেম আজ হয়ে গেল ঘাস
খেয়ে গেল গরু আর দিয়ে গেল বাঁশ৷"
" ভালোবাসার শেষ ফল
বুকে ব্যাথা চোখে জল"
" ভালোবাসা মহাপাপ
প্রেম করা অভিশাপ"
ভেঙ্গে গেলে প্রথম প্রেম---------------------
সুখী হয় না জীবনে"
খেয়ে গেল গরু আর দিয়ে গেল বাঁশ৷"
" ভালোবাসার শেষ ফল
বুকে ব্যাথা চোখে জল"
" ভালোবাসা মহাপাপ
প্রেম করা অভিশাপ"
ভেঙ্গে গেলে প্রথম প্রেম---------------------
সুখী হয় না জীবনে"
ভালোবাসার কবিতা
কী ভালো আমার লাগে আমার সকালবেলায়,
হয়তোবা তোমার লজ্জারাঙা ঠোঁটের হাসি; একটু আদর।
নির্মল নীল শাড়ীর একটু ছোয়া, কী অসহ্য সুন্দর
কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান। আমি বারবার মুগ্ধ হই।
দিগন্ত থেকে দিগন্তে; অন্ত থেকে অনন্তের পথে পা বাড়াই।
কী ভালো লাগে আমার তুমি যখন,
চারিদিকের সবুজ পাহাড়ে আঁকাবাঁকা, কুয়াশায় ধোঁয়াটে,
আস্তরণের আড়ালে দাড়িয়ে খিল-খিল হেসে ওঠ।
তোমার সেই উজ্জ্বল অপরূপ মুখ দেখে হয়তোবা আকাশ ,
নীল এই আকাশ- অভিমানে মুখ ফিরায়।
তুমি কি কখনো ভেবেছিলে এই হ্রদের ধারে
রূপোলি জলে শুয়ে-শুয়ে-এঁকে দিবে সোনালী চুম্বন।
সূর্যের চুম্বনে।-নীলের স্রোতে ঝরে পড়ছে অপরূপ ইন্দ্রধণু
তোমার আর আমার ভালোবাসার সাক্ষী তাঁরা।
দুটো প্রজাপতি কতদূর থেকে উড়ে আসছে জলের উপর দিয়ে।
- কী দুঃসাহস! তুমি হেসেছিলে আর আমি তোমার হাসি দেখছিলাম।
কী ভালো লেগেছিল।
ভালবাসার দিনে ভাললাগার মত একটি ভালবাসার কবিতা।
জান বন্ধু, তোমাকে খুব আপন মনে হয় কখনও পর করে দেখিনা। যখন তুমি চলে যাও, যাব কথা বল, তখন আমার বুক থেকে রক্ত ক্ষরিত হয়। আমি আমার ভালবাসার ভাগ কাউকে দিতে চাই না, এটা আমার পরম দাবী শরীর থেকে একটা অংশ বিচ্ছিন্ন হলে যে রকম কষ্ট তুমি চলে গেলে তার চেয়ে বেশী কষ্ট হবে। তোমাকে আমি কতটা ভালবাসি এটা আমার মনের মত করে তোমাকে বেঝাতে পারিনি। কিছুটা অপূর্নতা রয়েগেছে তুমি বুঝে নিও। তবে পৃথিবীর বিনিময়েও যে তোমাকে একান্ত আপন করে চাই এটা সত্য। যেদিন তোমাকে আমি সত্যিকার ভাবে পাব সেদিন আমার মনের মত করে তোমাকে আরও ভলবাসব। আদর সেহাগ আর ভালবাসা দিয়ে তোমাকে তোমার জীবনকে ভরিয়ে দেব। আমিকি তোমর কাছে কিছু আশা করতে পারিনা বন্ধু?। সামান্য কোন ব্যাপার নিয়ে আমার সাথে রাগ কর। আমি খুব কষ্ট পাই বন্ধু। মাঝে মাঝে তোমার সাথে হয়ত কিছু অভিমান হয় তুমি এতে মাইন্ড করনা অতিথী পাখি হয়ে আমার জীবনে এসোনা তা হলে খুব কষ্ট পাব। আমার মত করে আমাকে ভালবাস আমাকে একটু বোঝার চেষ্টা কর। তুমি যত বর হওনা কেন আমি আমার ভালবাসার মূল্য দিয়ে তোমাকে কিনতে চাই। আমি ভুল করবনা সঠিক জিনিসই কিনব।
গার্ল ফ্রেন্ড
ফকিরঃ বাবা আমারে ১০টা টাকা দেন চা খাব।
ভদ্রলোকঃ চা খেতে তো ৫টাকা লাগে, তুমি ১০ টাকা চাচ্ছ কেন?
ফকিরঃ গার্ল ফ্রেন্ড-রে নিয়া খামু।
ভদ্রলোকঃ হালার পাবলিক। ফকির হইয়াও গার্ল ফ্রেন্ড বানাইয়া ফেলছ!!
ফকিরঃ না স্যার, গার্ল ফ্রেন্ড-ই আমারে ফকির বানাইছে।
ভালবাসার কবিতা
অজস্র উদাহরণ আছে উড়ো ভাবনার, সহস্র রাত-জাগা তারাদের মুখ
তবু আলোর গল্প লেখা হয় আধাঁরের কবিতায়। বুকের শ্বেতপাথরে লেখা
হয় নাম। নিয়তির হাঁস ওড়ে জোনাকীর মত। ক্ষয় হয় চাঁদ-চাঁদ সুখ।
আকাশের মেঘ আঁকে বিজলীর নিপুণ প্রেম-রেখা।
মন কখনও চেয়ে ওঠে গানের অধিকার। সুর তালে বেজে ওঠে
ফুলের সম্ভার। সুবাস কখনো যেন রোদ-তাপা মরুভূমি ছুঁয়ে যায়।
কখনও-বা বৃষ্টি আসে পাতার গন্ধ কাঁটা হয়ে ফোটে।
বাঁধন-ছেঁড়া নদীর স্রোতে সুখ ভাসে নিরালা শেওলায়।
সাঁকো থেকে ঝুঁকে দেখি জেগে আছো কিনা। বুঝে দেখি রেলিংয়ের মর্মকথা
রেখাচিত্রে সহসা আনমনা। দূরের রেললাইনে কু-ঝিক-ঝিক
শব্দ তুলে চলে যায় ট্রেন। প্রেমে আছে চিরদিনের অমরতা
জানি। আজীবন তাই ভালবেসে যাব তোমার চোখের ঝিকমিক।
তবু আলোর গল্প লেখা হয় আধাঁরের কবিতায়। বুকের শ্বেতপাথরে লেখা
হয় নাম। নিয়তির হাঁস ওড়ে জোনাকীর মত। ক্ষয় হয় চাঁদ-চাঁদ সুখ।
আকাশের মেঘ আঁকে বিজলীর নিপুণ প্রেম-রেখা।
মন কখনও চেয়ে ওঠে গানের অধিকার। সুর তালে বেজে ওঠে
ফুলের সম্ভার। সুবাস কখনো যেন রোদ-তাপা মরুভূমি ছুঁয়ে যায়।
কখনও-বা বৃষ্টি আসে পাতার গন্ধ কাঁটা হয়ে ফোটে।
বাঁধন-ছেঁড়া নদীর স্রোতে সুখ ভাসে নিরালা শেওলায়।
সাঁকো থেকে ঝুঁকে দেখি জেগে আছো কিনা। বুঝে দেখি রেলিংয়ের মর্মকথা
রেখাচিত্রে সহসা আনমনা। দূরের রেললাইনে কু-ঝিক-ঝিক
শব্দ তুলে চলে যায় ট্রেন। প্রেমে আছে চিরদিনের অমরতা
জানি। আজীবন তাই ভালবেসে যাব তোমার চোখের ঝিকমিক।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)