সময় প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে দিন, মানুষ, মানুষের মন-মানসিকতা। নতুন নতুন পরিবর্তন ঘটছে প্রতি মূহুর্তে। এই পৃথিবী বহু বড় , এবং এখানে বসবাস বহু মানুষের। রয়েছে নানান দেশ , নানা জাতি। আমরা জতি হিসেবে বাঙ্গালী। আমাদের নিজস্ব কিছু কৃষ্টি-কালচার আছে। আমাদের এই কালচার কয়েক দিনের সৃষ্টি নয় , এটি বহু বছর আগের সৃষ্টি। যা কালে কালে পরিবর্তিত হয়ে এই রূপধারন করেছে। তবে (আমার মনে হয়) বিগত ২-৩ শতকে এই কালচারের যে পরিবর্তন হয়েছে , তার চেয়ে গত ১০-১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন ঘটেছে আমাদের জীবন ব্যবস্থার। এই জীবন ব্যবস্থা আমাদের জন্য যেমন সুফল বয়ে নিয়ে এনেছে, তেমনি তার কুফল ও কিন্তু কম নয়। কিছু দিন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছিলো যে "পৃথিবীতে হারাম জিনিসের সংখ্যা বেশি, নাকি হালাল জিনিসের সংখ্যা বেশি" আমি উত্তর দিয়েছিলাম এমন "হালাল যা আছে তার চেয়ে হারামের সংখ্যা ২০-৩০ গুনবেশি"। কিন্তু আমার সে বন্ধু আমাকে বললো যে "না" হারাম নয় হালালের সংখ্যাই বেশি। সে বললো "আমরা হালাল যেটা সেটা ব্যবহার করি কম, আর হারাম যেটা সেটা ব্যবহার করি বেশি"। আমি তার এই যুক্তিকে অগ্রাহ্য করতে পারলাম না। কারন আমার কাছে এটা সত্য মনে হয়েছে।
আমারা বাঙ্গালীরা বিশেষ করে বাংলাদেশীরা ইদানিং বেশ মর্ডান বা আধুনিক হতে শুরু করেছি যা মোটামুটি চোখে পড়ার মত। যদি এই আধুনিকতা নিয়ে আলোচনা করতে যাই তবে প্রথমে আসে পোষাকের কথা। আগে (এখানে আগে বলতে বিগত ৫০-৬০ বছরের কথা বুঝানো হচ্ছে) এদেশের ছেলেদের প্রধান পোষাক এর তালিকায় ছিলো প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি। আর মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস। হ্যাঁ এখনো ছেলেরা প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি পরে। তবে পাথর্ক্য হচ্ছে এই যে আগে প্যান্ট গুলো জিন্স ছিলো না এখন তা জিন্সের হয়ে। শুধু জিন্স নিয়ে ক্ষান্ত নয় বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ প্যান্ট ছিড়া এই ছিড়া জিন্সের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও বেশি এবং মার্কেটে যে প্যান্ট যত বেশি ছিড়া সে প্যান্ট তত বেশি দামী। যে প্যান্ট যত বেশি কুচকানো সে প্যান্ট তত বেশি সুন্দর বলে বিবেচ্য হয়। যারা বেশি দাম দিয়ে ঐ ছিড়া প্যান্ট কিনার রুচি রাখে না, তারা জিন্সের-ই তৈরি শালীন প্যান্ট গুলো পরে। আবার কিছু আছে ইচ্ছা করে সেই শালীন প্যান্ট গুলো কেটে জোড়া-তালি-রিপু করে তারপর পরে। তারপর আসে শার্ট। শার্ট এখন আর শার্ট নেই এটা বর্তমানে মোবাইল শার্ট, টি শার্ট ইত্যাদি নাম ধারন করেছে।
শুনতে খারাপ লাগলে ও সত্য, ছেলেরা যদি শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ৭৫ ভাগ কাপড় দিয়ে ঢাকে, তবে বেশির ভাগ মেয়েরা তাদের শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ২৫ ভাগ মাত্র কাপড় দিয়ে ঢাকে। বর্তমানে একটা ব্যপার লক্ষনীয় ব্যপারটা হচ্ছে "ইভ টিজিং"।
কিছু দিনা আগে "বাংলাদেশ প্রতিদিন" পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতাতে আব্দুস সালাম নামে একব্যক্তি "নিজে সচেতন হন" নামে একটি লেখা লিখেছেন। সেই লেখায় তিনি ইভ টিজিং এর ব্যপারে সবাই কে সচেতন হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন এই ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরা । এবং শেষে লিখেছেন আমাদের চিরাচারিত উক্তি "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো হতো ছেলেরা মেয়েদের টিজ করে, তবে মেয়েরাই তাতে ছেলেদের আগ্রহী করে তোলে। বাংলাদেশের মত ধর্ম ভীরু একটা দেশে যদি একটা মেয়ে ওড়ানা ছাড়া হাতাকাটা বডি ফিট টপস পরে তাদের স্তন জোড়া সবার চোখে সদৃশ করে তোলে, তার কোমরের নিচ হতে পায়ের গোড়লীর উপর পর্যন্ত টাইট-ফিট জিন্স পরে সবার সামনে ঘুরে বেড়ায়, তবে কেন একটা ছেলে সে ব্যপার নিয়ে কথা বলবে না? মেয়েটা যদি তার শালীনতা বজায় রাখতো তবে কোন ছেলে তাকে টিজ করার সুযোগ পেতোনা। আর সেই আব্দুস সালাম ভাই যে বলেছেন "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো আমাদের সাবার ঘরেই বোন না থাক মা অন্তত আছে। আমরা যদি আমাদের মা-বোন কে অশালীন পোষাক পরা হতে বিরত রাখি, তবে অবশ্যই তারা এই টিজিং এর হাত হতে অনেকাংশে রক্ষা পাবে। তবে হ্যাঁ কিছু ছেলে যে বখাটে তা আমি অস্বীকার করবোনা। কিন্তু সবাই যে বখাটে তা আমি কখনো স্বীকার করবোনা। আমাদের কানা সামাজের কানা হর্তা-কর্তা রা ইভ টিজিং এর জন্য ছেলেদের ই একক ভাবে দায়ী করে আসছে। এর জন্য যে মেয়েরা সমান অংশে দায়ী এটা তাদের চোখে পড়ছে না। আজ “বাংলাদেশ প্রতিদিন’’ পত্রিকার রকমারি পাতায় এসেছে “ইভ টিজিং হতে শুরু করে মেয়ে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়েই ছেলেদের অন্ধভাবে দায়ী করা হয়; কিন্তু সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ঠিক এর উল্টোটা। ব্রিটেনে বেশির ভাগ নারী ধর্ষন সহ বিভিন্ন দূরঘটনার জন্য ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশিদায়ী করেন। এক্ষেত্রে তারা নারীদের সংক্ষিপ্ত পোষাক, মদপান, উত্তেজক নৃত্য, অবাধে চলাফেরা ইত্যাদিকে দায়ী করেন’’।
ইভ টিজিং এর ফলে আত্মহত্যা ব্যাপারটা চোখ এড়ানোর মত নয়। প্রায় ২ মাস আগে ইভ টিজিং এর স্বীকার হয়ে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার খবর এসে ছিলো দেশের প্রায় সকল দৈনিক পত্রিকার প্রথম কিংবা শেষের পাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়াতে। পত্রিকায় এসেছে দুটি ছেলে প্রায় প্রতিদিন স্কুলের যাতায়তের পথে তারা মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো, প্রেম নিবেদন করতো, পথ আগলে দড়িয়ে তাকে অশ্লীল কথাবার্তা বলতো এবং মেয়েটি তার পরিবারকে ব্যাপারটি জানানোর পরে ও এর কোন প্রতিকার পায়নি। ঘটানার দিন সকালে সেই ছেলে দুইটি মেয়েটির বাসা গিয়ে তাকে বিয়ে করার কথা বলে, রাজি না হলে অন্য পথ অবলম্বনের কথা বলে ও বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলে চলে যায়। এরপর-ই মেয়েটি টয়লেটে গিয়ে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করে। এখানে প্রত্যেকটি আত্মহত্যা ঘটনায় রিপোর্টরা একটা ব্যপার বারবার অবহেলা করে যাচ্ছে। ব্যপারটি হলো মেয়েটির সাথে তার পরিবারের আচরন। ঘটনার দির সকালে ছেলে গুলো চলে যাবার পর মেয়েটি অভিভাবকরা মেয়েটির উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। যা খবরের অন্তরালে থেকে গিয়েছে। আমি সেই একই এলাকার বাসীন্দা হবার ফলে ব্যপারটা কিছুটা জানতে পারি। তো ঐ মেয়ে তখন-ই আত্মহত্যার পথবেছে নিলো, যখন তার অভিভাবকরা টিজিং এর কোন প্রতিকার করার ব্যবস্থা না করে উলল্টো তার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। টিজিং টা এমন কোন ব্যপার নয় যার জন্য আত্মহত্যা করতে হবে। যদি অভিভাবকদের সঠিক সহায়তা থাকে তবে কোন মেয়ে-ই আত্মহত্যার পথ বেছে নিবেনা।
আমার মতে এই সমস্যা গুলোর জন্য দায়ী আমাদের অপ-সমাজ ব্যবস্থা। অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতা। অপ-সংস্কৃতি। বিশেষ করে পশ্চিমাদের মত জীবনযাপনের চেষ্টা করার কারনে আজ আমাদের সমাজের এই অবস্থা। যে কোন জিনিসের এক অংশ নষ্ট রেখে আরেক অংশ ভালো করে কোন লাভ নেই। তাই ইভ টিজিং এ শুধু দায়ী ছেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ইভ টিজিং এর স্বীকার মেয়েদের ও এব্যপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। তবেই আমাদের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
আমারা বাঙ্গালীরা বিশেষ করে বাংলাদেশীরা ইদানিং বেশ মর্ডান বা আধুনিক হতে শুরু করেছি যা মোটামুটি চোখে পড়ার মত। যদি এই আধুনিকতা নিয়ে আলোচনা করতে যাই তবে প্রথমে আসে পোষাকের কথা। আগে (এখানে আগে বলতে বিগত ৫০-৬০ বছরের কথা বুঝানো হচ্ছে) এদেশের ছেলেদের প্রধান পোষাক এর তালিকায় ছিলো প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি। আর মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস। হ্যাঁ এখনো ছেলেরা প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি পরে। তবে পাথর্ক্য হচ্ছে এই যে আগে প্যান্ট গুলো জিন্স ছিলো না এখন তা জিন্সের হয়ে। শুধু জিন্স নিয়ে ক্ষান্ত নয় বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ প্যান্ট ছিড়া এই ছিড়া জিন্সের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও বেশি এবং মার্কেটে যে প্যান্ট যত বেশি ছিড়া সে প্যান্ট তত বেশি দামী। যে প্যান্ট যত বেশি কুচকানো সে প্যান্ট তত বেশি সুন্দর বলে বিবেচ্য হয়। যারা বেশি দাম দিয়ে ঐ ছিড়া প্যান্ট কিনার রুচি রাখে না, তারা জিন্সের-ই তৈরি শালীন প্যান্ট গুলো পরে। আবার কিছু আছে ইচ্ছা করে সেই শালীন প্যান্ট গুলো কেটে জোড়া-তালি-রিপু করে তারপর পরে। তারপর আসে শার্ট। শার্ট এখন আর শার্ট নেই এটা বর্তমানে মোবাইল শার্ট, টি শার্ট ইত্যাদি নাম ধারন করেছে।
শুনতে খারাপ লাগলে ও সত্য, ছেলেরা যদি শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ৭৫ ভাগ কাপড় দিয়ে ঢাকে, তবে বেশির ভাগ মেয়েরা তাদের শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ২৫ ভাগ মাত্র কাপড় দিয়ে ঢাকে। বর্তমানে একটা ব্যপার লক্ষনীয় ব্যপারটা হচ্ছে "ইভ টিজিং"।
কিছু দিনা আগে "বাংলাদেশ প্রতিদিন" পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতাতে আব্দুস সালাম নামে একব্যক্তি "নিজে সচেতন হন" নামে একটি লেখা লিখেছেন। সেই লেখায় তিনি ইভ টিজিং এর ব্যপারে সবাই কে সচেতন হতে বলেছেন। তিনি বলেছেন এই ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরা । এবং শেষে লিখেছেন আমাদের চিরাচারিত উক্তি "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো হতো ছেলেরা মেয়েদের টিজ করে, তবে মেয়েরাই তাতে ছেলেদের আগ্রহী করে তোলে। বাংলাদেশের মত ধর্ম ভীরু একটা দেশে যদি একটা মেয়ে ওড়ানা ছাড়া হাতাকাটা বডি ফিট টপস পরে তাদের স্তন জোড়া সবার চোখে সদৃশ করে তোলে, তার কোমরের নিচ হতে পায়ের গোড়লীর উপর পর্যন্ত টাইট-ফিট জিন্স পরে সবার সামনে ঘুরে বেড়ায়, তবে কেন একটা ছেলে সে ব্যপার নিয়ে কথা বলবে না? মেয়েটা যদি তার শালীনতা বজায় রাখতো তবে কোন ছেলে তাকে টিজ করার সুযোগ পেতোনা। আর সেই আব্দুস সালাম ভাই যে বলেছেন "আপনার ঘরে কি মা-বোন নেই"। আমি বলবো আমাদের সাবার ঘরেই বোন না থাক মা অন্তত আছে। আমরা যদি আমাদের মা-বোন কে অশালীন পোষাক পরা হতে বিরত রাখি, তবে অবশ্যই তারা এই টিজিং এর হাত হতে অনেকাংশে রক্ষা পাবে। তবে হ্যাঁ কিছু ছেলে যে বখাটে তা আমি অস্বীকার করবোনা। কিন্তু সবাই যে বখাটে তা আমি কখনো স্বীকার করবোনা। আমাদের কানা সামাজের কানা হর্তা-কর্তা রা ইভ টিজিং এর জন্য ছেলেদের ই একক ভাবে দায়ী করে আসছে। এর জন্য যে মেয়েরা সমান অংশে দায়ী এটা তাদের চোখে পড়ছে না। আজ “বাংলাদেশ প্রতিদিন’’ পত্রিকার রকমারি পাতায় এসেছে “ইভ টিজিং হতে শুরু করে মেয়ে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়েই ছেলেদের অন্ধভাবে দায়ী করা হয়; কিন্তু সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ঠিক এর উল্টোটা। ব্রিটেনে বেশির ভাগ নারী ধর্ষন সহ বিভিন্ন দূরঘটনার জন্য ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশিদায়ী করেন। এক্ষেত্রে তারা নারীদের সংক্ষিপ্ত পোষাক, মদপান, উত্তেজক নৃত্য, অবাধে চলাফেরা ইত্যাদিকে দায়ী করেন’’।
ইভ টিজিং এর ফলে আত্মহত্যা ব্যাপারটা চোখ এড়ানোর মত নয়। প্রায় ২ মাস আগে ইভ টিজিং এর স্বীকার হয়ে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার খবর এসে ছিলো দেশের প্রায় সকল দৈনিক পত্রিকার প্রথম কিংবা শেষের পাতায়। ঘটনাটি ঘটেছে সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়াতে। পত্রিকায় এসেছে দুটি ছেলে প্রায় প্রতিদিন স্কুলের যাতায়তের পথে তারা মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো, প্রেম নিবেদন করতো, পথ আগলে দড়িয়ে তাকে অশ্লীল কথাবার্তা বলতো এবং মেয়েটি তার পরিবারকে ব্যাপারটি জানানোর পরে ও এর কোন প্রতিকার পায়নি। ঘটানার দিন সকালে সেই ছেলে দুইটি মেয়েটির বাসা গিয়ে তাকে বিয়ে করার কথা বলে, রাজি না হলে অন্য পথ অবলম্বনের কথা বলে ও বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলে চলে যায়। এরপর-ই মেয়েটি টয়লেটে গিয়ে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করে। এখানে প্রত্যেকটি আত্মহত্যা ঘটনায় রিপোর্টরা একটা ব্যপার বারবার অবহেলা করে যাচ্ছে। ব্যপারটি হলো মেয়েটির সাথে তার পরিবারের আচরন। ঘটনার দির সকালে ছেলে গুলো চলে যাবার পর মেয়েটি অভিভাবকরা মেয়েটির উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। যা খবরের অন্তরালে থেকে গিয়েছে। আমি সেই একই এলাকার বাসীন্দা হবার ফলে ব্যপারটা কিছুটা জানতে পারি। তো ঐ মেয়ে তখন-ই আত্মহত্যার পথবেছে নিলো, যখন তার অভিভাবকরা টিজিং এর কোন প্রতিকার করার ব্যবস্থা না করে উলল্টো তার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলো। টিজিং টা এমন কোন ব্যপার নয় যার জন্য আত্মহত্যা করতে হবে। যদি অভিভাবকদের সঠিক সহায়তা থাকে তবে কোন মেয়ে-ই আত্মহত্যার পথ বেছে নিবেনা।
আমার মতে এই সমস্যা গুলোর জন্য দায়ী আমাদের অপ-সমাজ ব্যবস্থা। অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতা। অপ-সংস্কৃতি। বিশেষ করে পশ্চিমাদের মত জীবনযাপনের চেষ্টা করার কারনে আজ আমাদের সমাজের এই অবস্থা। যে কোন জিনিসের এক অংশ নষ্ট রেখে আরেক অংশ ভালো করে কোন লাভ নেই। তাই ইভ টিজিং এ শুধু দায়ী ছেলেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ইভ টিজিং এর স্বীকার মেয়েদের ও এব্যপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। তবেই আমাদের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন