শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

জিমেইলে টিপস

জিমেইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অনেক সময় অসতর্কতার কারণে ই-মেইলের পাসওয়ার্ড চুরি (হ্যাকিং) হয়ে যায়জিমেইল ব্যবহারকারীরা মোবাইল ভেরিফিকেশন চালু ইচ্ছে করে ই-মেইলের নিরাপত্তাব্যবস্থা মজবুত করতে পারেনএটি চালু করলে প্রতিবার আপনার ই-মেইল লগ-ইন করার সময় আপনার মোবাইলে একটি সংকেত বা কোড পাঠানো হবেওই কোড ছাড়া ই-মেইল চালু করা যাবে না, যার ফলে হ্যাকারদের পক্ষে আপনার ই-মেইল আয়ত্তে নেওয়া সম্ভব হবে নামোবাইল ভেরিফিকেশন চালু করার জন্য প্রথমে আপনার জিমেইল আইডি লগইন করুনএরপর সবার ওপরে ডানে settings অপশনে যান, সেখান থেকে account ট্যাবের অন্তর্গত google account settings অপশনে ক্লিক করুনএখন security ট্যাব থেকে using 2-step verification অপশনে ক্লিক করুনএর পরের পেজে start setup বাটনে ক্লিক করুনএখন আপনার মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করার জন্য একটি পেজ আসবে, ওই পেজের ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে Text message (sms) or voice call নির্বাচন করুনএরপর Add a mobile or landphone number where google can send code ড্রপ ডাউন মেন্যুতে Bangladesh নির্বাচিত করুন এবং ডান পাশের খালি বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখুনএখন send code বাটনে ক্লিক করুনএরপর জিমেইল থেকে আপনার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে একটি কোড আসবেওই কোডটি code লেখা বক্সে লিখে verify বাটনে ক্লিক করুন এবং next চাপুন পরবর্তী পেজেও next চাপুনএরপর Add a backup পেজ আসবে, এই পেজে আপনাকে ১০টি ব্যাকআপ কোড দেওয়া হবেযদি কোনো কারণে আপনার মোবাইল হারিয়ে যায় বা মোবাইলে মেসেজ না আসে, তাহলে ব্যাকআপ কোড দিয়ে ই-মেইল লগইন করতে পারবেন ব্যাকআপ কোড সংরক্ষণের পর Yes, I have a copy of my backup verification codes অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে next দিনএর পরের পেজে আপনার আরেকটি বিকল্প মোবাইল নম্বর দিয়ে next চাপুনতারপর Turn on 2-step verification অপশনে ক্লিক করলেই মোবাইল ভেরিফিকেশন চালু হয়ে যাবেএখন থেকে প্রতিবার জিমেইল লগ-ইন করার সময় মোবাইলে একটি কোড আসবে, আর ওটা ব্যবহার করেই জিমেইল লগ-ইন করা যাবে

সূত্র: দৈনিক প্রথম-আলো

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা


অসুখ হলে ওষুধ খেতে হয়_ এ কথা আমরা সবাই জানিকিন্তু সঠিক নিয়মে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেকেই অনুভব করি নাওষুধ খেতে আমরা যতটা তৎপর, ওষুধ খাওয়ার নিয়ম মানতে ততটাই উদাসীনআমাদের এই অবহেলা জীবনরক্ষাকারী ওষুধকে করে তুলতে পারে জীবনবিনাশী বিষ

ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই যে অনিয়মটা করি তা হলো চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়াআমরা নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসা করি, কখনও আত্মীয়, কখনও বন্ধুর পরামর্শ নেই, কখনও ডাক্তারের চেয়ে ওষুধ বিক্রেতার ওপর বেশি নির্ভর করি'অমুক ওষুধে তমুক ভালো হয়েছিল, তাই আমিও ভালো হব'_ এমন চিন্তাই আমাদের মধ্যে কাজ করেঅথচ লক্ষণ এক হলেই অসুখ এক হবে এমন কোনো কথা নেইআবার একই রোগে একই ওষুধের মাত্রা রোগীভেদে ভিন্ন হতে পারেশুধু অসুখে নয়, ওষুধ সহজলভ্য হওয়ায় সুখেও আমরা অন্যের পরামর্শে ওষুধ খাইমোটা হওয়ার জন্য স্টেরয়েড বা শক্তি বাড়ানোর জন্য ভিটামিন খাই ভাতের চেয়ে বেশিএসবের মারাত্মক, কখনও জীবনবিনাশী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ

যদিও বা কখনো (বাধ্য হয়ে) ডাক্তারের পরামর্শ নেই, ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের বেঁধে দেওয়া বিধি-নিষেধ মানি কমসময়মতো ওষুধ খাওয়া, খাওয়ার আগে না পরে তা বুঝে খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা_ এসব আমরা খেয়াল রাখি নাবিশেষ করে এন্টিবায়োটিকের ডোজের ক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরি উদাসীন থাকিসবচেয়ে ভয়াবহ হলো ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া'জ্বর ভালো হয়ে গেছে, এন্টিবায়োটিক আর কি দরকার'_ ভেবে নিজেরাই ওষুধ বন্ধ করে দেইআবার অন্যদিকে কয়েকদিনে জ্বর ভালো না হলে 'ওষুধ ঠিক নেই' ভেবে তা বন্ধ করে দেই এবং অন্য ডাক্তারের কাছে নতুন ওষুধের প্রত্যাশায় যাই যেসব অসুখে দীর্ঘদিন বা আজীবন ওষুধ খেতে হয় সেখানে আমরা অসুখ নিয়ন্ত্রণে আসলেই তা বন্ধ করে দেই, বুঝতে চাই না যে, রোগ ভালো হয়নি, নিয়ন্ত্রণে আছে কেবলএকসময় লোকমুখে 'ক্যান্সারের ওষুধ' শুনে বাতের ওষুধ বন্ধ করার ঘটনা প্রচুর হয়েছেওষুধ শুরুর মতো বন্ধ করার সময়ও আমরা নিয়ম মানি নাযেসব ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করা যায় না তা নিজেরাই হঠাৎ বন্ধ করে দেইওষুধ নিয়ে এই অনাচারে কি ক্ষতি হতে পারে? প্রথম কথা যে রোগের জন্য ওষুধ সেবন করা তার উপশম হবে না, বরং খারাপ হতে পারেওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর আবির্ভাব এক্ষেত্রে সবচেয়ে মারাত্মক হুমকিএন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার জীবাণুর বিরুদ্ধে এদের অকার্যকর করে দিচ্ছেসঠিক এন্টিবায়োটিক দিয়ে যে রোগ শুরুতেই ভালো করা যেত, অপব্যবহারের কারণে তা আর সম্ভব হচ্ছে না, নতুন দামী ওষুধ দরকার হচ্ছে, কখনও তাতেও কাজ হচ্ছে নাবিশেষভাবে বলা যায় যক্ষ্মার কথাযেখানে কমপক্ষে ৬ মাস ওষুধ খেতে হয়, অথচ অনেকেই কয়েক মাস খেয়ে 'ভালো হয়ে গেছি' মনে করে তা বন্ধ করে দেয়ফলশ্রুতিতে তা মারাত্মক মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবিতে পরিণত হয় যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিনআর্থিক দিকটাও বিবেচনা করা জরুরি যে চিকিৎসা এখন সুলভে হচ্ছে, অবিবেচকের মতো ওষুধ খেলে তা পরবর্তীতে ব্যয়বহুল হয়ে যেতে পারে

শুধু জীবাণু সংক্রমণ নয়, হাই ব্লাডপ্রেসার, ডায়বেটিস ইত্যাদি অসুখেও 'মাঝে মাঝে ওষুধের ব্যবহার' উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করে

নিয়মিত ওষুধ খেলেও যদি সেবনবিধি না মানা হয় তবে অনেক ওষুধই অকার্যকর হয়ে যায় খালি পেটে খাবার ওষুধ ভরা পেটে খেলে তা না খাবার মতোই হবেএছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই এক ওষুধ অন্য ওষুধের উপস্থিতিতে কাজ করে নাঅজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে এসব ওষুধ একত্রে খেলে লাভ তো হবেই না, বরং ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে

মনের মতো ওষুধ খাওয়ার আরেক সমস্যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াএকজন চিকিৎসক ভালো মতোই জানেন কোন ওষুধের কি সমস্যা আর তাই তা কাকে দেয়া যাবে, কাকে যাবে নানিজে থেকে ওষুধ খেলে এসব বিবেচনা সম্ভব নয়, তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা বেশিব্যথার ওষুধ খেয়ে পেট ফুটো হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটেমোটা হওয়ার জন্য স্টেরয়েড খেয়ে অনেকেই মারাত্মক কুশিং সিনড্রোমে আক্রান্ত হন, যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ ওষুধ বন্ধ করেও অনেকে বিপদে পড়েন, বিশেষ করে স্টেরয়েড হঠাৎ বন্ধ করলে এডিসনিয়ান ক্রাইসিস হতে পারে যাতে থেকে রোগী মারাও যেতে পারে

সাধারণ ওষুধ, যার অনেকগুলো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়, বিশেষ অবস্থায় তাও হতে পারে ক্ষতিকরআমরা অনেকেই জানি না যে, ভিটামিন এ বা ক্রিমির ওষুধের মতো সাধারণ ওষুধ গর্ভের শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করেলিভারের রোগীর জন্য প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ হতে পারে ক্ষতির কারণ

অবস্থার জন্য দায়ী আমরা সবাইরোগী যেমন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাহুল্য ভাবছেন, ডাক্তার তেমনি রোগীকে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছেন না, আর কর্তৃপক্ষ হয়ে আছেন উদাসীন

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রোগীদের যা মেনে চলা উচিত তা হলো_

১. শুধু ডাক্তার পরামর্শ দিলেই ওষুধ সেবন করা যাবে২. বিশেষ অবস্থায় (যেমন গর্ভাবস্থা, লিভারের রোগ ইত্যাদি) সাধারণ ওষুধ যা প্রেসক্রিপশন ছাড়া পাওয়া যায়, তাও ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যবহার করতে হবে৩. শুধু ফার্মাসিস্টের কাছ থেকে ওষুধ কেনা উচিতকেনার সময় তার মেয়াদকাল দেখে নিতে হবেমনে রাখবেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আপনার রোগ সারানোর পরিবর্তে ক্ষতি করতে পারে৪. ডাক্তার ওষুধ খাবার যে নিয়ম বলে দেবেন (কতটুকু ওষুধ, কতক্ষণ পরপর, কত দিন, খাবার আগে না পরে ইত্যাদি), সে অনুযায়ী তা সেবন করতে হবেপ্রয়োজনে তা লিখে রাখুন বা মনে রাখতে অন্যের সাহায্য নিননিজে থেকে ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করা যাবে না৫. চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত নিজে ওষুধ কিনে সেবন করবেন না এতে আপনি স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেনঅনেকে নিজে নিজেই দুর্বলতার জন্য ভিটামিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকেনএক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ভিটামিন শরীরের দুর্বলতা দূর করে নাযে কারণে শরীর দুর্বল হয় সে কারণ দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবেঅপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত ভিটামিন খেলে তারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে৬. অনেকে একবার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বার বার সেই ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনেনএক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, প্রথম ব্যবস্থাপত্রে যে ওষুধ যতদিন খেতে বলা হয়েছে ততদিনই খাওয়া যাবেপুনরায় একই অসুখ হলেও সেই একই ওষুধ কাজ নাও করতে পারে৭. অনেকে সামান্য কারণেই ব্যথার ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেনঅনেকে এমন কি স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও খানডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এভাবে ওষুধ খেলে উপকার তো হবেই না, বরং স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে৮. নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে নাসুস্থ বোধ করলেও কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৯. একই সঙ্গে এলোপ্যাথিক ও অন্যান্য পদ্ধতির চিকিৎসা চালালে তা ডাক্তারকে জানানো উচিত১০. ওষুধ সবসময় আলো থেকে দূরে, ঠাণ্ডা, শুষ্ক স্থানে, শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুনকিছু কিছু ওষুধ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়, এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন১১. ব্যবহারের সময় ওষুধ ভালো আছে কিনা দেখে নিননাম ও মাত্রাটা আবার খেয়াল করুন১২. অনেক সময় দোকানদারগণ প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ না দিয়ে শুধু বিক্রি করার জন্য অন্য কোম্পানির অন্য ওষুধ দিয়ে বলে থাকেন_ একই ওষুধএক্ষেত্রে রোগীদের সতর্ক থাকা উচিত এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে উলি্লখিত নামের ওষুধ কেনা উচিত ওষুধ কেনার সময় আবার ভালো করে যাচাই করে নেবেন এবং ওষুধ বিক্রেতা লিখিত ওষুধের পরিবর্তে অন্য ওষুধ দিচ্ছে কিনা দেখে নিন১৩. বাচ্চা ও বয়স্কদের বেলায় আরও বেশি সতর্ক হতে হবেতাদের বেলায় ওষুধের মাত্রা, চোখের ড্রপ বা মলম এবং ইঞ্জেকশনের প্রয়োগবিধির (যেমন মাংসে বা শিরায়) ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবেএছাড়া চিকিৎসকেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে তাদের কর্তব্য_

১. রোগীকে রোগ এবং ওষুধ সম্পর্কে জানান২. ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানান৩. নিজে থেকে বন্ধ করলে কি ক্ষতি হতে পারে জানানকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে দ্রুত ডাক্তারকে জানানোর পরামর্শ দিন৪. কখন ও কিভাবে ওষুধ বন্ধ করা যাবে জানান৫. নিয়মিত ও নিয়ম মতো ওষুধ খেতে উৎসাহিত করুন৬. রোগীর খরচের দিকটা মাথায় রাখুন অযথা অতিরিক্ত দামী ওষুধ নেহায়েত প্রয়োজন না হলে বা জীবন রক্ষাকারী না হলে না লেখাই ভালো৭. প্রেসক্রিপশনে অসুখের পূর্ণ নাম, ওষুধের নাম, মাত্রা, খাবার নিয়ম, কতদিন খেতে হবে ইত্যাদি স্পষ্টাক্ষরে সুন্দরভাবে লেখা উচিত

এর সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ বিক্রেতার কর্তব্য প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি করা, শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে যেনতেনভাবে যে কোনো ওষুধ বিক্রি না করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা, দোকানে ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করা

ওষুধের অপব্যবহার, বিশেষ করে এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্স থেকে নিজেদের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার

লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ, অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বিএসএমএম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র:  ইন্টারনেট


বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১২

সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া রমনীদের বাবাদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন


সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া রমনীদের বাবাদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪২

সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া রমনীদের বাবাদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন রাখতে চাইঃ
১) যখন আপনার মেয়েকে দেখে কেউ তালি বাজায়, অথবা শিশ দেয় তখন আপনার কি গর্বে বুক ভরে ওঠে ?
২) যখন আপনার মেয়ের পরণে থাকে টাইট ফিটিং কাপড় (যার মধ্যে দিয়ে তার শরীরের প্রতিটি অংশের আকার বোঝা যায়) আপনিও কি হাজার দর্শকের মত তা উপভোগ করেন ?
৩) যখন আপনার মেয়েকে স্মার্ট বানানোর নামে ছোট কাপড় পরানো হয়, বাংলা ইংলিশ মিশিয়ে কথা বলানো হয়, তখন আপনি কি মুচকি হাসেন ?
৪) যখন আপনার মেয়ে এসএমএস এর জন্য সবার কাছে কাকুতি-মিনতি করে তখন কি আপনার মনে হয় আপনারও সবার কাছে এসএমএস চাওয়া উচিৎ ?
৫) আপনারা নিশ্চই আপনার মেয়েকে মা ডাকেন, আপনার মা কে হাজার হাজার মানুষের মাঝে উন্মুক্ত করতে আপনাদের বিবেকে একটুও বাধে না ?

সূত্র: ইন্টরনেট ।

বাংলাদেশ ২১০৮ - একটি ভবিষ্যৎ দর্শনমূলক কবিতা


বাংলাদেশ ২১০৮ - একটি ভবিষ্যৎ দর্শনমূলক কবিতা (MUST SEE!!!)


আজি হতে শত বর্ষ পরে, যখন তুমি পড়বে আমার কবিতাখানি....
দেখবে এই বাংলাদেশটা নেই আর যেমন আমরা জানি....

আওয়ামী-জামাত বাঁধবে জোট....
বুক ফুলিয়ে চুরবে ভোট....
পরিবারতন্ত্রে বড়ই সুখ....
জনগণের বন্ধ মুখ....

চালের মূল্য আকাশ ছোঁবে....
হাজার টাকা কেজি হবে....
জেনে রেখো শুধু তবে....
ইনকামটা একই রবে

তারেক রহমান স্মৃতি পুরষ্কার....
পাবে যত চোর রাজাকার....
মুক্তিযোদ্ধা?? সেটা আবার কি?
রাজাকারদের বিচার বাকি....

ঘরে ঘরে সব গোল্ডেন এ প্লাস....
ফেল নেই কোন, শতভাগ পাস....
প্রকৌশলী-ডাক্তার হাজার হাজার....
বন্ধ শুধু চাকরীর দুয়ার....

বিএনপি ফের লাগবে জোড়া....
দেশটাকে করবে খোঁড়া....
হাসান মশহুদের বংশীয়রা....
অত্যাচারে দেশছাড়া....

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান....
নিজামী শালা পাবে সম্মান....
দূর্নীতি ফের হবে বলিয়ান....
ফিরে পাবে তার শীর্ষস্থান....

তখন থাকবো না আমি....
থাকবে না তুমি....
থাকবেন শুধু অন্তর্যামী....
দাঁত কেলিয়ে হাসবে আমার কবর চাপা খুলি....
করবে বয়ান মৃত্যুসুখ আর আনন্দের বুলি....
"বেঁচেছি মরে আমি তোমার কোলে মাগো....
তোমার সন্তানদের বলবো শুধু - জাগো! বাঙালি জাগো!"



*** মজার জায়গা সামহয়ার...রাজাকারের বিরুদ্ধে বললে ভারতের পা-চাটা কুকুর, ভারতের বিরুদ্ধে বললে রাজাকার, ইসলামের একটা ত্রুটি বের করার সামান্য প্রচেষ্টা করলেও নাস্তিক, ইসলামের একটি ভালো দিক তুলে ধরা পোস্ট করলেও মৌলবাদী, বিএনপির বিরুদ্ধে বললে আওয়ামীপন্থি, আওয়ামী লিগ নিয়া কথা বললে বিএনপি'র পোষা কুকুর, জামাতের পক্ষে বললে রাজাকার, বিপক্ষে বললে নিজেই রাজাকারদের টার্গেট

কবিতা লিখেছি বটে, কিন্তু সাথে এও দোয়া করি যেন আমার কবিতার একটি বাক্যও সত্য না হয়নিজেকে নিরপেক্ষ দাবী করছি না, কিন্তু নিজেকে এই দেশের একজন অত্যাচারিত নাগরিক দাবী করতে হয়তো পারি ইতিহাস নাকি পুরনো শয়তান মেরে নতুন শয়তান সৃষ্টি করেআমি নতুন শয়তান দেখতে রাজি আছি, তাও যদি পুরানগুলা বিলুপ্ত হয়

কি আওয়ামী লীগ, কি বিএনপি, কি জামাত.....সব শালাই এক....আর এটাই বাংলাদেশের আসল রূপতো চলে আসুন সাইটের সব পা-চাটা কুকুরেরা, রাজপথ দখলের যুদ্ধ থেকে বিতাড়িত হয়ে ব্লগ দখলের যুদ্ধে ব্যস্ত সেনারাচলে আসুন মেয়ে আইডিধারী রাজাকাররা আসুন, এসে আপনাদের ঝাল মিটিয়ে যান....দেখিয়ে যান আপনাদের আসল রূপ....কষে মাইনাস দিন....এমন সুযোগ রোজ আসবে না

সূত্র: ইন্টরনেট ।

কবিতার লেখনি খারাপ লাগার কারনে মাইনাস দিলে সাথে কমেন্ট দিয়েন প্লিজ.......

লজ্জ্বা পান........তবুও কাউকে আপনার প্রেমে পাগল করতে চান?? (সোনামণি ও আপামণিদের জন্য না)


লজ্জ্বা পান........তবুও কাউকে আপনার প্রেমে পাগল করতে চান??  (সোনামণি ও আপামণিদের জন্য না)

আমি ভাই ব্যর্থ প্রেমিকতবে ভাই-বেরাদর, বন্ধু-বান্ধব, দুলাভাইয়েরা সব সময়ই সমব্যথী ছিলেনঅতএব, তারা বিভিন্ন সময়ে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মেয়ে পটানোর কিছু অব্যর্থ টিপস দিয়ে আমার জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধশালী করেছেনসেই ভান্ডারের সামর্থ্যে আর কুলাচ্ছে না!! তাই কিছু আপনাদের জন্য ছেড়ে দিচ্ছি

নিচের টিপসগুলো মূলত 'কঠিন হৃদয়যুক্ত' কোন কন্যাকে নরম করার গরম ফর্মূলা!(কারণ, আমার প্রতি সব কইন্যাই কেন যেন কঠিনতাই এই ব্যাপারে সদুপদেশ ও পাইছি বেশী।)


টিপস ১. আপনি কি ভাই খুব ফিটফাট/ গোছালো? প্রথমেই মাইনাছ! কিছুটা অগোছালো, এলোমেলো ছেলেই নাকি সুন্দরী মেয়েদের বেশি পছন্দ! তবে সাবধান! উদ্ধত্যপূর্ণ কিংবা ছেঁড়া-ফাঁড়া পোশাক বাদ দিনভালো পারফিউম ব্যবহার করুন


টিপস ২. মেয়ে ভাবলেশহীন ভাবে তাকিয়ে আছে? আপনি উদাসী হউননিজের ব্যাপার গুলো ভুলে যান বেশী করেজ্ঞান ফলানতবে হ্যাঁ, আঁতলামি কইরেন না আবার!


টিপস ৩. মেয়ে নরম হচ্ছে না? তাকে দাম দিনপ্রশংসা করুন- তবে মেপে মেপে শরীর নিয়ে ভুলেও প্রশংসা করবেন নাকরলে বিপুল মাইনাছ!! তার কাজকে গুরুত্ব দিনকোন গুণ থাকলে তার প্রশংসা করুনপোষা প্রাণী থাকলে ওটারও প্রশংসা করুন(আপনার পছন্দ না হলেও!)


টিপস ৪. মেয়ে বেশি ভাব-গম্ভীর? ঘন ঘন তাকানবাছাই করা জোক্‌স দিয়ে রসিকতা করুনহাসুন-- হাসতে দিনহাসি মুখ যে কাউকে আকর্ষণ করে


টিপস ৫. কাজ হচ্ছে না? দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছেন না?? কিছুটা যৌনতার দিকে যানকথার ফাঁকে আপনার চুলে হাত বোলানআপনার দিকে তাকালে জিভ্‌ দিয়ে ঠোঁট চাটুন (বেশী করা যাবে না।) পশমী বুক থাকলে জামার দু'একটা বোতাম খুলে দিন ভদ্র ভাবে যৌনতা দেখান......... নরম হবেই!!


টিপস ৬. মেয়ে অতিরিক্ত কঠিন? একেবারেই কাজ হচ্ছে না?? উলটো পথে হাঁটুন জানেন তো, মাইনাছে মাইনাছে পিলাচ! এইবার দাম কিছুটা কম দেনঅন্য কারো সাথে ক্ষীর খান(মেয়ে হইলে ভালো)!! হঠাৎ দাম কমে গেলে সে কিছুটা জ্বলবেইজ্বলে পুড়ে অঙ্গার হতে দিনপড়ে আগুন নিভে গেলে বুঝবে......... আপনি ছাড়া গতি নাই!!



এগুলোতে কোন কাজই হলো না?????


ভয় পাবেন নাভাত হাত দিয়ে খাওয়া যায়, আবার চামুচ দিয়াও খাওয়া যায়! অর্থাৎ ঘুরপথে আন্টির কাছে যানমনে রাখবেন, পরিবারও অনেক সময় পছন্দে প্রভাব ফেলে


টিপস ৭. আন্টিকে কদমবুচি করেনশরীর-স্বাস্থ্যের খবর নেনপারিবারিক বিষয় নিয়ে আলাপ করেনতবে সাবধান!! এতক্ষণ মেয়ের সাথে যা যা করছেন......... আন্টির সাথে আবার রিপিট মাইরেন না! তাইলে আমার লেখা পুরাই ব্যর্থ!!


মা মেয়ের চেয়ে আরো বেশী কঠিন??
কিন্তু মেয়েটা যে বেশী জটিল!! এর সাথেই ভাঁজ খাইতে মনে চায়!!!


তাইলে আর কি? শেষ ভরষা......... তাহার পিতা!


টিপস ৮. এইবার ভুলেও উদাসী পাট লইয়েন নাফিটফাট হয়া যানকদমবুচি রিপিট লনশরীরের খবরও লনএরপর ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার মত পিতার পছন্দের কোন বিষয়ে কথার আরম্ভ কইরা দেনসামনে নাশতা আসছে? খাওয়ার কথা ভুলে যান! খালি উৎসাহী বদনে শুনে যানগাম্ভীর্য বজায় রাখুনপরবর্তীতে ঘরে আপনার প্রশংসা হবেইএতে যদি মেয়ে কিছুটা গলে!!!!


পরিশেষঃ
" যদি দেখেন টিপ্‌স গুলাতে কোন কাজ-ই হয় না
বুঝিবেন এই মেয়ে আপনার সাথে যায় না !! "

"ছেড়ে দিয়ে এই মেয়েকে পটানোর ধান্দা
নামাজ ধরে হয়ে যান খোদার প্রিয় বান্দা।"

সূত্র: ইন্টরনেট ।