আর আমার
বর্তমান অবস্থান?? কারাগার.....!
কারাগার-ই সম্ভবত ভাবনা-চিন্তা বিকাশের শ্রেষ্ঠ জায়গা। আমার ভবিষ্যত যেহেতু অন্ধকার, বর্তমান কারাগার-- তাই গত ক'দিনে অতীত নিয়েই বেশী ভাবলাম। ভেবে ভেবে কি পেলাম জানেন? বলছি শুনুন........................
বয়েজ স্কুলে পড়তাম বলেই হয়তোবা গার্লস স্কুলের প্রতি মোহটা একটু বেশীই ছিলো। তাতে কি? আমি ভালোই ছিলাম। মাথা নিচু করে স্কুলে যেতাম--সেভাবেই ফিরতাম। ভালো ছাত্র ছিলাম বলে বাবা স্কুলে থাকতেই মোবাইল কিনে দেন। বিপত্তির শুরুটা সেখানেই। আমার বেশীর ভাগ বন্ধুর মোবাইল ছিলো না। ওরা কোথা থেকে বিভিন্ন "ছোট আপু"/ "বড় আপু"-র নাম্বার নিয়ে আসতো -আর আমার মোবাইল দিয়ে ওদের ডিস্টার্ব করতো। এর মধ্যে কিছু নাম্বার ছিলো 'স্পেশাল'। অর্থাৎ মুঠোফোনের অন্য প্রান্তের মেয়েটি সহজেই বন্ধুত্ব মেনে নিয়ে চুটিয়ে প্রেম করতো। বন্ধুরা চলে যেত বটে........ কিন্তু মুঠোফোনের 'স্পেশাল' নাম্বার গুলো তো রয়েই যেত। ওদের মিসড্ কল, মেসেজ......কল ইত্যাদি রিসিভ করতে করতে হঠাৎ-ই আসক্ত হয়ে গেলাম।এবার আর বন্ধুদের দরকার নেই। অচেনা বিভিন্ন নাম্বারে ফোন করে নিজেই খুজে বের করতাম আরো 'স্পেশাল' নাম্বার। অনেকে ফোনে ঝাড়িও দিয়েছে। তবে রয়ে যাওয়া 'স্পেশাল' নাম্বার গুলোর সুকন্ঠের মায়া আর ছাড়তেই পারিনি !
এভাবেই ছাড়িয়ে গেলাম অধঃপতনের প্রথম স্তর....................
বলাই বাহুল্য এস,এস,সি তে বাজে রেজাল্ট এবং বেসরকারী কলেজে ভর্তি। এখানে আবার কো-এডুকেশন। দু'একটা মেয়েই শুধু বোরকা পড়ে আসতো। আর বাকীরা 'হেডলাইট' জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াত। ক্লাশে শুধু ছেলে মেয়েদের মিস্টি-দুস্টু ঝগড়া আর বলিউডি ফ্যাশন নিয়ে আলোচনা। অবস্থা এমন যে-- 9XM কিংবা Mtv --র গান বাজনা না দেখলে ক্লাশে টেকাই দায়। বাধ্য হয়েই দেখা শুরু করলাম। ঢুকলাম প্রাইভেট কোচিং-এ। সেখানে সব সুন্দরীদের আনাগোনা। বাহারী চুলের ডিজাইন, টাইট জিন্স, টি-শার্ট পড়া আধুনিকারা এতো কাছে বসতো যে তার গায়ে মাখা সুগন্ধী কোন ব্র্যান্ডের তা নিয়ে বন্ধুরা রীতিমত তর্ক জুড়ে দিতাম! 'আধুনিকা'-দের কাছে 'আধুনিক'-রাই দাম পায়। তাই চুলে ওয়েস্টার্ন ছাট দিলাম। প্যান্ট ছেড়ে জিন্স আর হাতে-গলায় মাদুলী। চোখে রোদ চশমা--শীত গ্রীষ্মে তখন আমার নিত্য সঙ্গী।
এভাবেই ছাড়িয়ে গেলাম অধঃপতনের মধ্য স্তর....................
কোচিং সেন্টারে আসা ভিন্ন কলেজের মেয়েদের পিছনে ঘোরা শুরু হলো। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে মরিয়া হয়ে ওদের কলেজ গেটে দাড়াতাম। কাউকে কাউকে ফলো করে বাসা পর্যন্ত চলে যেতাম। সালমান খান স্টাইলে শিষ্ দিলে কারিনা স্টাইলের মেয়েটি যখন অদ্ভুত নয়নে তাকাতো......... ভিতরে গভীর আনন্দ পেতাম।
এভাবে আসক্তিটা 'দেখা' থেকে 'ছোয়া'-য় পরিণত হলো। রমনার ভীড়ে কিংবা বইমেলার লাইনে অথবা টি,এস,সি-তে অযাচিত ধাক্কায় ছোয়া-র বিমল সুখ নেওয়া শুরু হলো।
কারাগার-ই সম্ভবত ভাবনা-চিন্তা বিকাশের শ্রেষ্ঠ জায়গা। আমার ভবিষ্যত যেহেতু অন্ধকার, বর্তমান কারাগার-- তাই গত ক'দিনে অতীত নিয়েই বেশী ভাবলাম। ভেবে ভেবে কি পেলাম জানেন? বলছি শুনুন........................
বয়েজ স্কুলে পড়তাম বলেই হয়তোবা গার্লস স্কুলের প্রতি মোহটা একটু বেশীই ছিলো। তাতে কি? আমি ভালোই ছিলাম। মাথা নিচু করে স্কুলে যেতাম--সেভাবেই ফিরতাম। ভালো ছাত্র ছিলাম বলে বাবা স্কুলে থাকতেই মোবাইল কিনে দেন। বিপত্তির শুরুটা সেখানেই। আমার বেশীর ভাগ বন্ধুর মোবাইল ছিলো না। ওরা কোথা থেকে বিভিন্ন "ছোট আপু"/ "বড় আপু"-র নাম্বার নিয়ে আসতো -আর আমার মোবাইল দিয়ে ওদের ডিস্টার্ব করতো। এর মধ্যে কিছু নাম্বার ছিলো 'স্পেশাল'। অর্থাৎ মুঠোফোনের অন্য প্রান্তের মেয়েটি সহজেই বন্ধুত্ব মেনে নিয়ে চুটিয়ে প্রেম করতো। বন্ধুরা চলে যেত বটে........ কিন্তু মুঠোফোনের 'স্পেশাল' নাম্বার গুলো তো রয়েই যেত। ওদের মিসড্ কল, মেসেজ......কল ইত্যাদি রিসিভ করতে করতে হঠাৎ-ই আসক্ত হয়ে গেলাম।এবার আর বন্ধুদের দরকার নেই। অচেনা বিভিন্ন নাম্বারে ফোন করে নিজেই খুজে বের করতাম আরো 'স্পেশাল' নাম্বার। অনেকে ফোনে ঝাড়িও দিয়েছে। তবে রয়ে যাওয়া 'স্পেশাল' নাম্বার গুলোর সুকন্ঠের মায়া আর ছাড়তেই পারিনি !
এভাবেই ছাড়িয়ে গেলাম অধঃপতনের প্রথম স্তর....................
বলাই বাহুল্য এস,এস,সি তে বাজে রেজাল্ট এবং বেসরকারী কলেজে ভর্তি। এখানে আবার কো-এডুকেশন। দু'একটা মেয়েই শুধু বোরকা পড়ে আসতো। আর বাকীরা 'হেডলাইট' জ্বালিয়ে ঘুরে বেড়াত। ক্লাশে শুধু ছেলে মেয়েদের মিস্টি-দুস্টু ঝগড়া আর বলিউডি ফ্যাশন নিয়ে আলোচনা। অবস্থা এমন যে-- 9XM কিংবা Mtv --র গান বাজনা না দেখলে ক্লাশে টেকাই দায়। বাধ্য হয়েই দেখা শুরু করলাম। ঢুকলাম প্রাইভেট কোচিং-এ। সেখানে সব সুন্দরীদের আনাগোনা। বাহারী চুলের ডিজাইন, টাইট জিন্স, টি-শার্ট পড়া আধুনিকারা এতো কাছে বসতো যে তার গায়ে মাখা সুগন্ধী কোন ব্র্যান্ডের তা নিয়ে বন্ধুরা রীতিমত তর্ক জুড়ে দিতাম! 'আধুনিকা'-দের কাছে 'আধুনিক'-রাই দাম পায়। তাই চুলে ওয়েস্টার্ন ছাট দিলাম। প্যান্ট ছেড়ে জিন্স আর হাতে-গলায় মাদুলী। চোখে রোদ চশমা--শীত গ্রীষ্মে তখন আমার নিত্য সঙ্গী।
এভাবেই ছাড়িয়ে গেলাম অধঃপতনের মধ্য স্তর....................
কোচিং সেন্টারে আসা ভিন্ন কলেজের মেয়েদের পিছনে ঘোরা শুরু হলো। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে মরিয়া হয়ে ওদের কলেজ গেটে দাড়াতাম। কাউকে কাউকে ফলো করে বাসা পর্যন্ত চলে যেতাম। সালমান খান স্টাইলে শিষ্ দিলে কারিনা স্টাইলের মেয়েটি যখন অদ্ভুত নয়নে তাকাতো......... ভিতরে গভীর আনন্দ পেতাম।
এভাবে আসক্তিটা 'দেখা' থেকে 'ছোয়া'-য় পরিণত হলো। রমনার ভীড়ে কিংবা বইমেলার লাইনে অথবা টি,এস,সি-তে অযাচিত ধাক্কায় ছোয়া-র বিমল সুখ নেওয়া শুরু হলো।
এভাবেই পৌছে
গেলাম অধঃপতনের শেষ স্তরে....................
এরপর 'হারানো' আমি-- নম্র কিংবা উগ্র, লাজুক কিংবা আধুনিকা যে কাউকে নোংরা চোখে বলৎকার করতাম। কখনো হাত ধরে টেনে , কিংবা ওড়না টেনে ফেলে দিয়ে অনাবিল সুখে বন্ধুরা হাসাহাসি করতাম। নোংরামি ভালো-ই চলছিলো। হঠাৎ-ই ধরা পড়ে গেলাম।........
বলতে লজ্জ্বা হচ্ছে যে, আমি একজন ইভটিজার। তবুও জোর গলায় বলছি ভাই-- আমি ইভটিজার হতে চাইনি ......... আমার পরিবেশ আমাকে ইভটিজার বানিয়েছে।
এরপর 'হারানো' আমি-- নম্র কিংবা উগ্র, লাজুক কিংবা আধুনিকা যে কাউকে নোংরা চোখে বলৎকার করতাম। কখনো হাত ধরে টেনে , কিংবা ওড়না টেনে ফেলে দিয়ে অনাবিল সুখে বন্ধুরা হাসাহাসি করতাম। নোংরামি ভালো-ই চলছিলো। হঠাৎ-ই ধরা পড়ে গেলাম।........
বলতে লজ্জ্বা হচ্ছে যে, আমি একজন ইভটিজার। তবুও জোর গলায় বলছি ভাই-- আমি ইভটিজার হতে চাইনি ......... আমার পরিবেশ আমাকে ইভটিজার বানিয়েছে।
সূত্র: ইন্টরনেট ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন